ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোর দায়ে ইসরায়েলকে শাস্তির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) সম্ভাব্য সবকিছু করার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন তিনি। দুবাইয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ-২৮) অংশ নিয়েছিলেন এরদোয়ান। খবর তাসের।
এরদোয়ান বলেন, আমরা এই গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলকে শাস্তি আওতায় আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এটি শুধু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের জন্যই নয়, যে দেশগুলো ইসরায়েলকে নিঃশর্তভাবে সমর্থন করে চলেছে তাদের জন্যও একটি কালো অধ্যায়। ভবিষ্যতে তাদের এই নীরবতার জন্যও মূল্য দিতে হবে। বিশ্ব এই উদাসীনতার কথা ভুলে যাবে না।
এ সময় তুরস্কের আইনজীবীসহ বিশ্বের প্রায় ৩ হাজার আইনজীবী গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আইসিসির কাছে আবেদন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, প্রায় ৩ হাজার আইনজীবী আইসিসির কাছে প্রয়োজনীয় আবেদন জমা দিয়েছেন। তারা আইসিসির বিচারকাজে নজর রাখবেন। আমাদের প্রত্যাশা, গাজার কসাইরা, গণহত্যার মূলহোতারা, বিশেষ করে নেতানিয়াহু, শাস্তির মুখোমুখি হবেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে প্রচেষ্টা জোরদার করবে তুরস্ক। আমরা এই গণহত্যার কথা ভুলে যাব না এবং অন্যদেরও ভুলতে দেব না। কয়েক দিন আগে বা পরে, ইসরায়েলকে অবশ্যই এর জন্য মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এবং গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
এরদোয়ানের এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সামাজিক মাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, এমন অনেকে আছে যারা সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে। তাদের একজন হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তিনি ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলেছেন। কিন্তু হামাসের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে সমর্থন করেন। তাই আমরা তাদের কাছে কোনো লেকচারের জন্য যাচ্ছি না।
মন্তব্য করুন