গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলায় দখলদার ইসরায়েলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে পশ্চিমা অনেক প্রতিষ্ঠান। এবার সেই সমর্থন দেওয়ার ফল পেয়েছে আন্তর্জাতিক কফি চেইন শপ স্টারবাকস। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় গণহত্যা চালায় ইসরায়েল। এ সময় ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছিল স্টারবাকস। এরপরই বিশ্বব্যাপী স্টারবাকস বয়কটের ডাক দেন ফিলিস্তিনের সমর্থকরা।
বয়কট আন্দোলনের পর মোট ১১ বিলিয়ন বা ১১০০ কোটি ডলার লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে আন্তর্জাতিক এই কফি চেইন শপটি।
জানা গেছে, ১৬ নভেম্বরের পর থেকে ১৯ দিনে স্টারবাকসের শেয়ারমূল্য কমেছে ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সমান। স্টারবাকসের এক অফিসিয়াল বিবৃতি থেকেই এ তথ্য জানা গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ নভেম্বর থেকে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা স্টারবাকসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পতন। এই নিয়ে টানা ১২ স্টক মার্কেট সেশনে স্টারবাকসের শেয়ার দাম কমলো। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে স্টারবাকস চেইনগুলো অভ্যন্তরীণ কর্মচারী ধর্মঘটে ভুগছে, যার ফলে হ্রাস পেয়েছে এটির সেবার মানও।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় সমর্থন জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেয় স্টারবাকস। এ ছাড়া ফিলিস্তিন ও হামাস আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাদের যেসব কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছে তাদের চাকরিচ্যুত করে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মচারী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ করায় কর্মচারী ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় স্টারবাকস। এমনকি তেলআবিবে ইসরায়েলি সৈন্যদের জন্য ফ্রি কফির ঘোষণাও দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে স্টারবাকসের পণ্য বয়কটের প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যের সীমা অতিক্রম করে সারাবিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। মিসরের স্টারবাকস স্বীকার করেছে যে, বয়কট আন্দোলনের প্রভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে কর্মীদের সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয়েছে তারা। লোকসানের মুখে মরক্কোতে স্থায়ীভাবে বন্ধের পথে জনপ্রিয় এই কফিশপটি। বিশ্বব্যাপী ৮৬টি দেশে ৩৫ হাজারেরও বেশি শাখা রয়েছে স্টারবাকসের। যার বেশিরভাগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
মন্তব্য করুন