গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। সেনাবাহিনীর হামলায় ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। তাদের হামলায় নিহত বেড়ে ১৮ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ২০৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আরও ৪৫০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া এখনও বিপুল সংখ্যক লোক হামলায় ধসে পড়া স্থাপনার পাথরের নিচে আটকে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর হামলায় নিহত বেড়ে ১৮ হাজার ৪১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা হামলার কারণে উপত্যাকায় ৫০ হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের হামলার কারণে অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার লোকের মধ্যে বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি দেখা দিয়েছে। যা বাস্তবে আরও অনেক বেশি হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রমেই অবনতি হচ্ছে গাজার আবাসন ব্যবস্থা। ইসরায়েলি হামলায় একের পর এক আবাসন ভেঙে পড়ছে। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে । এমন পরিস্থিতিতে সেখানে বেড়েছে রোগের প্রাদুর্ভাব।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার উদ্বাস্তু মানুষের মাঝে চিকেন পক্স (জল বসন্ত), শ্বাসনালির সংক্রমণসহ নানাবিধ রোগের প্রাতদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের অভিযান অব্যাহত থাকায় এসব রোগ দেখা দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, উপত্যকায় অন্তত ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার শিশুদের মধ্যেই কেবল ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এসব শিশুদের সবার বয়সই পাঁচ বছরের নিচে। সংস্থাটি এ সংখ্যাকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বলে উল্লেখ করেছে।
ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে কাজ করা বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন জানান, এ ছাড়া এ অঞ্চলে ইসরায়েলের হামলার কারণে জন্ডিসসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। এজন্য সংস্থাটি সেখানে জন্ডিসের ধরন শানক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ ল্যাব স্থাপন করেছে।
মন্তব্য করুন