কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হজ শেষে কোরবানির লাখো পশুর মাংস কী করে সৌদি আরব?

পবিত্র কাবা শরিফ। ছবি : সংগৃহীত
পবিত্র কাবা শরিফ। ছবি : সংগৃহীত

প্রতি বছর আরাফাতের ময়দানে হাজির হন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখানে দেওয়া হয় পশু কোরবানি। ২০ লাখেরও বেশি মানুষ হজ পালন শেষে কোরবানি দিয়ে থাকেন।

এ লাখো পশুর বিপুল মাংস নিজেরা আর কতটাই বা ভোগ করেন। বিদেশে দেওয়ার মতো আত্মীয়স্বজনও নেই। দুস্থ মিসকিনও নেই বললেই চলে।

তাহলে এই বিপুল মাংসের কী হয় সেখানে? একটা সময় ছিল হাজিদের অনেকেই কোরবানির মাংসগুলো শুকিয়ে সংরক্ষণ করতেন। কেউ আবার নিরুপায় হয়ে মাংস রাস্তায় ফেলে দিতেন। অনেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের বিড়ম্বনায় মাংস মাটিতেই পুঁতে ফেলতেন, যা শুধু অপচয়ই না, পরিবেশেরও ক্ষতি করত।

১৯৮৩ সালে প্রথম মক্কা মিনা ও আশপাশের এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে কোরবানির মাংস কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। যে উদ্যোগে শুধু পরিবেশই রক্ষা হয়নি মুসলিম বিশ্বের ২৭ দেশের তিন কোটিরও বেশি মানুষের খাবারের সংস্থান করা গেছে।

ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা আইডিবি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২৫ বছর আগে ওয়াইসেমে একটি স্বয়ংক্রিয় কসাইখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কসাই ও প্রশাসকসহ ৪০ হাজারের বেশি কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় এখানে। হজের সময় জবাই করা লাখ লাখ ভেড়া, গরু ও উটের মাংস এখানে প্রসেস করা হয়।

শুধু মাংসই নয়, দিনে ৫০০ টন ময়লা প্রসেস করতে পারে এমন প্ল্যান্টও সেখানে স্থাপন করা হয়। এই প্ল্যান্ট ময়লাগুলোকে সারে রূপান্তরিত করে। কোরবানির মাংসও নিয়ম মেনে বণ্টন করা হয় এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। পাশাপাশি মসজিদুল হারামের আশপাশে দরিদ্রদের মধ্যে মাংস বিতরণ শুরু হয়। মুসলিম দেশগুলোতে সেই মাংস পাঠানো হয় মহরম মাসের প্রথম দিন। ২৫০টি দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে সৌদি আরবের মধ্যেও মাংস বিতরণ করা হয়। প্রকল্পটি মোট ১০টি সরকারি সংস্থা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়। হাজিরা চার উপায়ে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তবে হাজিদের বড় একটি অংশ আইডিবির ওপর কোরবানির দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এতে সময় ও ঝঞ্ঝাট থেকে বাঁচা যায়, আবার প্রতারিত হওয়ার শঙ্কাও থাকে না।

কোরবানির জন্য একজন হাজিকে ৮০০ রিয়েলের মতো জমা দিতে হয়। পশুর দাম, কসাই খানার খরচ ,মাংস সংরক্ষণ ও দেশে দেশে গরিব মুসলিমদের মধ্যে মাংস বিতরণের খরচও এর মধ্যে সামিল থাকে। আইডিবির সেই প্রকল্পের অংস হিসেবে প্রতি বছর বাংলাদেশেও আসে দুম্বার মাংস। সেই মাংস দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এরই মধ্যে প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে। এখন বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি ঘরে এই মাংস বিতরণ করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘোষিত তপশিলকে প্রাথমিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন 

তপশিলকে স্বাগত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের

উদ্ধারের পর শিশু সাজিদকে মৃত ঘোষণা

শিশু সাজিদকে যেভাবে পেলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

শিশু সাজিদ জীবিত উদ্ধার হলো যেভাবে

‘অপমানবোধ করছেন’, সরে যেতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন : রয়টার্স

শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার

নতুন দায়িত্ব পেলেন আসিফ নজরুল

ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল মেক্সিকো, বড় ক্ষতির মুখে মোদি

নতুন করে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন রিজওয়ানা হাসান

১০

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি মেলেনি

১১

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ

১২

ভীতিমুক্ত ভোটার প্রভাবমুক্ত প্রশাসন এখনো দৃশ্যমান নয় : ড. দেবপ্রিয়

১৩

৩১ ঘণ্টা ধরে শিশু সাজিদের অপেক্ষায় মা

১৪

তৃণমূল এনসিপি গঠনের ঘোষণা

১৫

ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যেসব কারণে

১৬

৩ উপদেষ্টার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন, কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন?

১৭

আ.লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

১৮

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকারদের কর্মসংস্থান করা হবে : তৃপ্তি

১৯

গণহারে পদত্যাগের ঘোষণা ইসরায়েলি সেনাদের

২০
X