ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমশ অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সোমবার (৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিক এক বিবৃতিতে সংস্থাটি তার উদ্বেগের কথা জানায়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ভিত্তিহীন অভিযোগকে এই অঞ্চলের উত্তেজনা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ওআইসি। বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, এ ধরনের অভিযোগ ইতোমধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও জটিল করার ঝুঁকি তৈরি করছে। পাশাপাশি সব ধরনের ও রূপের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং যে কেউ যেখানেই এটি সংঘটিত করুক না কেন, তার নিন্দা জানানোর নীতিগত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি।
ওআইসি কোনো দেশ, জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি বা জাতীয়তাকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত করার সব প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
কাশ্মীর বিরোধের উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অমীমাংসিত এই বিরোধ দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করার মূল ইস্যু। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ তাদের অবিচ্ছেদ্য স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। অথচ তা সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) রেজুলেশনে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংস্থাটি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কর্তৃক প্রস্তাবিত মধ্যস্থতার প্রশংসা করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর প্রতি পরিস্থিতি নিরসনে তাৎক্ষণিক ও বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।
গত মাসে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন স্পট পেহেলগামে সংঘটিত হামলাকে কেন্দ্র করে পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।
ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে বলেছে, এই হামলার পেছনে সীমান্তের ওপারের সংযোগ রয়েছে। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃতীয় পক্ষের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে।
দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে একে অপরের নাগরিকদের জন্য ভিসা বাতিল করা এবং কূটনৈতিক কর্মীদের প্রত্যাহার করা।
ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে। ফলে পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ চুক্তি স্থগিতকরণ পাকিস্তানের বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোকে একতাবদ্ধ করেছে। তারা বিভিন্ন সমাবেশে ঘোষণা করেছে, সিন্ধু নদীর পানি থেকে পাকিস্তানকে বঞ্চিত করার চেষ্টা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
মন্তব্য করুন