কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা উপত্যকা নিয়ে ইলন মাস্কের নতুন পরিকল্পনা

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল আলাপে এই পরিকল্পনার কথা জানান। ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল আলাপে এই পরিকল্পনার কথা জানান। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ফিলিস্তিনির স্বাধীনতা গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করে গাজা উপত্যকাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে জাপান ও জার্মানিকে পুনর্গঠনে সহায়তা করেছিল, গাজার ক্ষেত্রেও তেমন উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জার্মানির অলটারনেটিভ ফুর ডয়েচল্যান্ড (এএফডি) পার্টির নেতা অ্যালিস ওয়েইডেলের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলাপে মাস্ক বলেন, ইসরায়েলকে রক্ষায় তিনটি ধাপ প্রয়োজন।

প্রথমত, ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চায় এমন গোষ্ঠী, বিশেষত হামাস, নির্মূল করা। দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিনিদের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করা, যাতে ঘৃণার বদলে শান্তি ও সহাবস্থানের শিক্ষা দেওয়া হয়। তৃতীয় ধাপ হলো- গাজা উপত্যকাকে সমৃদ্ধ করা এবং পুনর্গঠনে সহায়তা দেওয়া।

মাস্ক উল্লেখ করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র জাপান-জার্মানিকে আর্থিক ও অবকাঠামোগত সহায়তা দিয়ে গড়ে তুলেছিল। এই উদ্যোগের ফলে আজ তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। গাজার ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজায় মানবিক বিপর্যয় চলছে। ২০২৫ সালের প্রথম ১০ দিনে গাজায় ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের অর্থনৈতিক ক্ষতিও বিশাল। আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশটির ক্ষতি প্রায় ৬৭.৫৭ বিলিয়ন ডলার।

সমাধানের পথে

মাস্কের মতে, গাজায় শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো জরুরি। তিনি পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার ওপর জোর দিয়েছেন।

গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার এ প্রস্তাব বাস্তবায়নে বিশ্ব নেতৃত্বের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, কেয়ারটেকারকে ঘিরে সন্দেহ

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

খালসহ ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করলেন খুলনার জেলা প্রশাসক

৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

১০

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

১১

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

১২

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

১৩

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

১৪

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

১৫

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

১৬

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

১৭

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

১৮

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

১৯

গাজাবাসীর জন্য বিশেষ ভিসা চালু করতে স্টারমারকে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

২০
X