

মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে এখন চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দল। তবে এবার সংস্করণ ভিন্ন—দলও কিছুটা ভিন্ন। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সিরিজ ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন লিটন দাস, শরিফুল ইসলামরা। বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে তিন ম্যাচের সিরিজটি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিরিজটিতে বড় সুযোগই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে।
টি-টোয়েন্টিতে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে বাংলাদেশ। দেশে কিংবা দেশের বাইরে একের পর এক সিরিজ জিতেই চলছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের অনুভূতি তো এখনো তরতাজা। এর মধ্যে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে দেশের মাটিতে সিরিজ হারিয়েছেন তারা। এবার তাদের সামনে প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ। সর্বশেষ ক্যারিবীয়দের মাটি থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে এসেছিল বাংলাদেশ। সেই আত্মবিশ্বাসকে এবার চট্টগ্রামেও কাজে লাগানোর সুযোগের সামনে স্বাগতিকরা।
দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলমান রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। একেক সিরিজের দলের সঙ্গে একেক সিরিজের দলেও দেখা যাচ্ছে দু-একটি করে পরিবর্তন। উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটির প্রথম দুই ম্যাচের দলে নেই পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দলের সঙ্গে চট্টগ্রামে আছেন তিনিও। শোনা যাচ্ছে, শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে যোগ করা হতে পারে ডানহাতি এই পেসারকে। গতকাল সিরিজ সামনে রেখে প্রথম দিনের অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। চট্টগ্রামে সিরিজটি হওয়ায় ব্যাটিংবান্ধব উইকেট হবে—এমন প্রত্যাশা সফরকারীদের। আবার বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশও কন্ডিশনের সুবিধা থেকে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটেই মনোযোগ বেশি দিচ্ছে। সেভাবেই পরিকল্পনা করছে টিম ম্যানেজমেন্টও।
আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চের মধ্যেই ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়ার কথা আসন্ন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া ২০ দলও এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গেছে। মেগা আসরটি সামনে রেখে টি-টোয়েন্টিতে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে দলগুলো। ব্যাপক ব্যস্ততার মধ্য দিয়েও যাচ্ছে তারা। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। গত দু-তিন মাসে একের পর এক সিরিজ খেলে যাচ্ছেন লিটনরা। সামনে আরও বেশ কয়েকটি সিরিজ ও ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলার কথা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজটির প্রস্তাব নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছিলেন, ‘শ্রীলঙ্কা থেকে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার প্রস্তাব এসেছে। আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষ হবে ২ ডিসেম্বর, আর বিপিএল শুরু হতে পারে ১৪ বা ১৫ ডিসেম্বর। এই মধ্যবর্তী দুই সপ্তাহে সিরিজটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে তারা।’ সিরিজটির পর বিপিএল। এরপর সরাসরি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ সামনে রেখে ব্যাপক ব্যস্ততায় বাংলাদেশও।
মন্তব্য করুন