চট্টগ্রামে অনুভূত হয়েছে হালকা মাত্রার ভূমিকম্প। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরী ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন টের পান স্থানীয় বাসিন্দারা। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়্যারলেস সুপারভাইজার সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস জানান, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উৎপত্তি হলেও চট্টগ্রামে এই ভূমিকম্প মৃদু অনুভূত হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে হঠাৎ এই কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে অনেক মানুষ নিজেদের বাসা-বাড়ি ও বহুতল ভবন থেকে বেরিয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভূমিকম্প নিয়ে তৎক্ষণাত প্রতিক্রিয়া জানান অনেকেই। কেউ কেউ জানান, কম্পন অনুভব করেই ভবন কাঁপছে কি না তা বোঝার চেষ্টা করেন তারা। আবার অনেকেই ভাবেন এটি কোনো গ্যাসলাইনের বিস্ফোরণ বা বড় যানবাহনের শব্দ হতে পারে।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি ছিল স্বল্পমাত্রার একটি প্রাকৃতিক কম্পন এবং এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নেই। তবুও ভূমিকম্পের পর লোকজনকে সচেতন থাকতে এবং বহুতল ভবনে অবস্থানকালে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকার আশপাশে মাঝেমধ্যে এমন কম্পন অনুভূত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকায় এসব অঞ্চলে বিল্ডিং কোড মেনে স্থাপনা
মন্তব্য করুন