নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। ছবি : কালবেলা
নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। ছবি : কালবেলা

ফেনীর উজানের পানিতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ২১ লাখ মানুষ। বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। এমন পরিস্থিতিতে সাপের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় নাকাল বন্যার্তরা।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, গত তিন দিনে নোয়াখালীতে ৬৩ জনকে সাপে কেটেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সাপে কেটেছে ২৮ জনকে। বন্যার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০৮ জন।

সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা মো. আবুল খায়ের জানান, ফেনীর মুহুরী নদীর উজানের পানি প্রবেশ করায় জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলায় গত দুই দিন বৃষ্টি না হলেও উজানের পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়। অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ও সড়ক তলিয়ে গেছে। স্কুলে ঢুকে পড়েছে পানি। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।

কবিরহাটের বাসিন্দা ফরমান হোসেন বলেন, বন্যা ও ভারিবর্ষণের কারণে কবিরহাটের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এদিকে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজ করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কর্মহীন মানুষেরা সাহায্যের আবেদন জানিছেন সরকার ও বিত্তশালীদের কাছে।

নোয়াখালী জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চপর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। উজানের পানিতে বন্যার পানি বাড়ছে।

বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার ৮টি উপজেলার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। প্রতিটি বাড়িতে ৩ থেকে ৫ ফুট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিচু এলাকাগুলো যার পরিমাণ ৬ থেকে ৭ ফুট। বসতঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেকে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্র, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অবস্থান নিয়েছেন। বাড়ি ও রান্নাঘরে পানি ঢুকে পড়ায় খাবার সংকটে রয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। জেলার প্রধান সড়কসহ প্রায় ৮০ ভাগ সড়ক কয়েক ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কগুলোতে যান চলাচল অনেকটাই কম।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব উপজেলায় এরই মধ্যে ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।

এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা জানতে আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় নারী আটক

বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগের ২১ নেতা-কর্মী কারাগারে

পদত্যাগের হিরিক বৈষম্যবিরোধী বাঙলা কলেজ শাখায়

ঢাবির সূর্য সেন হলে ঠাণ্ডা পানির মেশিন বসালো শিবির

ছাত্রদলের কমিটিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ইস্যুতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন স্পষ্ট করতে সরকারের বিবৃতি

কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে বিলুপ্ত হলো এনবিআর

পাবজি মোবাইল ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে কাজাখস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশের A1 Esports

পাকিস্তানের হাইকমিশনারের ঢাকা ত্যাগ নিয়ে নানা গুঞ্জন

সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার 

১০

আইইবির সাবেক কাউন্সিল সদস্য প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম আর নেই

১১

স্মার্ট কার্ড জটিলতায় টিসিবির খাদ্যপণ্য পাচ্ছে না ১৮ হাজার পরিবার

১২

সফলভাবে সম্পন্ন হলো ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’

১৩

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, যুবদল নেতাকে বহিষ্কার

১৪

একপাশে অটোরিকশা স্ট্যান্ড, অন্যপাশে ময়লার ভাগাড়

১৫

সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে

১৬

আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের মদদেই : এলডিপি মহাসচিব

১৭

যুদ্ধ করল ভারত-পাকিস্তান, পোয়াবারো চীনের

১৮

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

১৯

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ মেয়েকে হত্যা করলেন বাবা-মা

২০
X