বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘গুলি লেগেছে আফসোস নেই, দেশ তো স্বাধীন হয়েছে’

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চৌদ্দগ্রামের স্কুলছাত্র জহিরুল ইসলাম রিয়াদ। ছবি : কালবেলা
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চৌদ্দগ্রামের স্কুলছাত্র জহিরুল ইসলাম রিয়াদ। ছবি : কালবেলা

গত ৫ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিজয়ের খবর শুনে বন্ধুদের সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জহিরুল ইসলাম রিয়াদ। এদিন দুপুর থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারে আন্দোলনকারী জনতা, সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনবিরোধী সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়। সেদিন বিকেল আনুমানিক ৪টায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় রিয়াদ।

গুরুতর আহত অবস্থায় রিয়াদকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে বেশ কিছুদিক চিকিৎসাধীন ছিল রিয়াদ।

পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে সিএনজিচালক পিতা বেলাল হোসেন ছেলে রিয়াদকে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌরসদরের পশ্চিম ধনমুড়ী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রিয়াদকে দেখতে যান চৌদ্দগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী কমান্ডার মেজর মাহিম। এ সময় রিয়াদ সেনাবাহিনীকে ৫ আগস্টের গল্প জানান। রিয়াদ বলেন, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আমাদের ছাত্রদের আন্দোলনের খবর শুনছি। আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিহত ও আহত হওয়ার খবরে ঘরে থাকতে পারি না। গ্রামের বাড়িতে থাকায় ঢাকার আন্দোলনে শরিক হতে পারিনি। তাই ৫ আগস্ট চৌদ্দগ্রামে বিজয় উৎসবের খবর পেয়েই মা-বাবার নিষেধ উপেক্ষা করে বন্ধুদের সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি।

এ সময় স্কুলছাত্র রিয়াদ আরও বলেন, চাকরির জন্য যখন আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা আবেদন করে, তখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ঘুষের জন্য তাদের চাকরি হয় না। একটি স্বাধীন দেশে আমার মতো সিএনজিচালকের ছেলের পক্ষে ঘুষ দিয়ে চাকরি করা সম্ভব না। তাই আন্দোলনে শরিক হই। আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েছি তো কী হয়েছে, এজন্য কোনো আফসোস নেই। দেশ তো স্বাধীন হয়েছে, মুক্ত হয়েছে। দুর্নীতিবাজরা দেশ থেকে পালিয়েছে।

রিয়াদের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে সরকারিভাবে চিকিৎসা হয়েছে। সে সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অনেকেই আমার ছেলেকে দেখতে আসেন। পারিবারিক অভাবের কারণে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা শেষ না করেই ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাড়িতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের লোকজন আমার ছেলের খোঁজখবর নিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবু সাইদ জীবন দিয়ে ঘুমন্ত দেশকে জাগিয়ে গেছেন: শিমুল বিশ্বাস

কোনো দুর্বৃত্ত-চাঁদাবাজকে আমরা জায়গা দিব না : মুন্না

বিএনপির ৩টি কমিটি বিলুপ্ত

বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল একমাত্র ছেলে

জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা

সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

পরিকল্পনা করে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে : ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ

‘আমার ফয়সাল পাস করছে, এ রেজাল্ট দিয়া আমি কী করমু?’

চিলমারীতে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৪০

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কারাগার পরিদর্শন

১০

‘হত্যাকারী ও হত্যার নির্দেশদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে’

১১

গর্ত থেকে একে একে বের হলো ২১টি গোখরা সাপ

১২

ময়মনসিংহে সিলিন্ডারের গুদামে ভয়াবহ আগুন

১৩

রাজশাহীতে ১২ কলেজের সবাই ফেল

১৪

‘পৃথিবীকে বাঁচাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে’

১৫

সৌদি আরবে বাইক রাইডারদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

১৬

সিংড়ায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

১৭

আমরা চাই না কোনো ভুলের কারণে দল থেকে ছিটকে যান : নয়ন

১৮

ভারত থেকে এলো ৫৯৩ টন কাঁচামরিচ

১৯

নাটোরের ৪ কলেজে পাস করেনি কেউ

২০
X