চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘গুলি লেগেছে আফসোস নেই, দেশ তো স্বাধীন হয়েছে’

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চৌদ্দগ্রামের স্কুলছাত্র জহিরুল ইসলাম রিয়াদ। ছবি : কালবেলা
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চৌদ্দগ্রামের স্কুলছাত্র জহিরুল ইসলাম রিয়াদ। ছবি : কালবেলা

গত ৫ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিজয়ের খবর শুনে বন্ধুদের সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জহিরুল ইসলাম রিয়াদ। এদিন দুপুর থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারে আন্দোলনকারী জনতা, সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনবিরোধী সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়। সেদিন বিকেল আনুমানিক ৪টায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় রিয়াদ।

গুরুতর আহত অবস্থায় রিয়াদকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে বেশ কিছুদিক চিকিৎসাধীন ছিল রিয়াদ।

পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে সিএনজিচালক পিতা বেলাল হোসেন ছেলে রিয়াদকে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌরসদরের পশ্চিম ধনমুড়ী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রিয়াদকে দেখতে যান চৌদ্দগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী কমান্ডার মেজর মাহিম। এ সময় রিয়াদ সেনাবাহিনীকে ৫ আগস্টের গল্প জানান। রিয়াদ বলেন, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আমাদের ছাত্রদের আন্দোলনের খবর শুনছি। আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিহত ও আহত হওয়ার খবরে ঘরে থাকতে পারি না। গ্রামের বাড়িতে থাকায় ঢাকার আন্দোলনে শরিক হতে পারিনি। তাই ৫ আগস্ট চৌদ্দগ্রামে বিজয় উৎসবের খবর পেয়েই মা-বাবার নিষেধ উপেক্ষা করে বন্ধুদের সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি।

এ সময় স্কুলছাত্র রিয়াদ আরও বলেন, চাকরির জন্য যখন আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা আবেদন করে, তখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ঘুষের জন্য তাদের চাকরি হয় না। একটি স্বাধীন দেশে আমার মতো সিএনজিচালকের ছেলের পক্ষে ঘুষ দিয়ে চাকরি করা সম্ভব না। তাই আন্দোলনে শরিক হই। আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েছি তো কী হয়েছে, এজন্য কোনো আফসোস নেই। দেশ তো স্বাধীন হয়েছে, মুক্ত হয়েছে। দুর্নীতিবাজরা দেশ থেকে পালিয়েছে।

রিয়াদের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে সরকারিভাবে চিকিৎসা হয়েছে। সে সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অনেকেই আমার ছেলেকে দেখতে আসেন। পারিবারিক অভাবের কারণে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা শেষ না করেই ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাড়িতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের লোকজন আমার ছেলের খোঁজখবর নিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই বিএনপি কাজ করছে : আমীর খসরু

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে : বাবুল

তারুণ্য নির্ভর ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই : জামায়াত আমির

মনোনয়ন দিয়ে বিএনপি নির্বাচনের ষড়যন্ত্রে পেরেক ঠুকেছে : মীর হেলাল

মানবাধিকার রাষ্ট্রীয় স্বৈরাচার থেকে সুরক্ষা দেয় : কাদের গনি চৌধুরী

‘চলো জি ভাই হাঁরঘে পদ্মা বাঁচাই’

চট্টগ্রামে ধানের শীষের প্রার্থীকে গুলি, নগর বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ

চলন্ত ট্রেনের যন্ত্রাংশ ভেঙে পড়ল লাইনে

যে আসনে নির্বাচন করবেন পার্থ, প্রতীক কী

বগুড়ায় পিনাকী ভট্টাচার্যের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা

১০

৫ ধরনের ব্যক্তির জন্য বিপজ্জনক মেথি ভেজানো পানি

১১

বেরোবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন / দায়িত্ব গ্রহণের আগেই অব্যাহতি চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১২

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শজিমেকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৩

গণসংযোগে নিহত ১৫ মামলার আসামি সরওয়ার বিএনপির কেউ নন : আমীর খসরু

১৪

জকসু নির্বাচন / দুই দিনে প্রার্থীদের ডোপটেস্ট করবে নির্বাচন কমিশন, করা যাবে না আপিল 

১৫

বসুন্ধরা-মোহামেডানের পর এবার আবাহনীর ওপরও ফিফার নিষেধাজ্ঞা

১৬

নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন / পরাজয়ের পর যে তত্ত্ব দিলেন ট্রাম্প

১৭

দুবলার চরে শেষ হলো ঐতিহাসিক রাস উৎসব

১৮

এনসিপি থেকে সেই মুনতাসিরকে চূড়ান্ত অব্যাহতি

১৯

বিএনপির প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় যা বললেন জামায়াত আমির

২০
X