নোয়াখালী ব্যুরো ও জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘কাউয়া কাউয়া’ স্লোগানে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর-আগুন

মিছিল নিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ইনসেটে ওবায়দুল কাদের। ছবি : কালবেলা
মিছিল নিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ইনসেটে ওবায়দুল কাদের। ছবি : কালবেলা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বিকেলেও ওই বাড়ির ৫টি বসতঘর ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের বাড়ির দ্বিতল ভবন প্রথমে ভাঙচুর করে ছাত্র-জনতা। এ সময় ‘কাউয়া কাউয়া’, ‘কাউয়া কাদের’ সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজার থেকে একটি মিছিল বের করেন ছাত্র-জনতা। মিছিলটি বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে কাদেরের বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার দোতালা ভবন হাতুড়ি, শাবল দিয়ে ভাঙা হয়। পরে তার ছোট ভাই শাহাদাত মির্জার ভবনও ভাঙচুর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা এমরান হোসেন জানান, ৫ আগস্টের দিন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর মাত্র কিছু দিন আগে কাদের মির্জা ভবনটি পুনরায় সংস্কার করেন। দ্বিতীয় দফায় কাদেরের বাড়িতে এ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। তবে হামলা-ভাঙচুরের সময় তাদের পরিবারের কেউ ছিল না। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কাদেরের পরিবারের সদস্য আত্মগোপনে রয়েছে।

ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা কোম্পানীগঞ্জের অসংখ্য মানুষ ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই আব্দুল কাদের মির্জার ও তার বাহিনীর লোকদের দ্বারা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব কারণে তাদের প্রতি যে ক্ষোভ জমেছিল, আজকের হামলা ভাঙচুর ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই হামলা ভাঙচুরে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতেও যদি কোনো সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে ফ্যাসিস্টের আচরণ করেন, তাদের পরিণতিও একই রকম হবে।

অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিমের মোবাইলে কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য মেলেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভয়ে ভারত ছাড়তে চাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো পিএসএল

আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

যমুনার সামনে তৈরি হচ্ছে আ.লীগ নিষিদ্ধের মঞ্চ

বিমানে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে ট্রাম্প প্রশাসন

পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা, ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের গাড়িবহরে হামলা

ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

পাকিস্তানে আরেকটি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত

‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’

১০

বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর

১১

এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা / নিহত ৪ জনের দুজন ছিলেন মসজিদের ইমাম

১২

রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে গেল দৃশ্যপট

১৩

যমুনার সামনে রাতভর যা যা হলো

১৪

কয়টি রাফায়েল আছে ভারতের, একেকটির দাম কত?

১৫

ফের গোলাগুলি শুরু, উত্তেজনা তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে

১৬

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নাক গলাতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র

১৭

দুপুরের মধ্যেই আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ড. মাসুদের

১৮

সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে

১৯

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিশুরা

২০
X