কুমিল্লার তিতাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের অভিযোগে এক ডিলারকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ১টায় তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সোমবার (১২ মে) রাতে ওএমএস-এর ৩৫ বস্তা চাল উপজেলার আসমানিয়া বাজার থেকে উদ্ধার করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জহিরুল ইসলাম উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) ডিলার। তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের মো. এমদাদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার আসমানিয়া বাজারের ওএমএস ডিলার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জহিরুল ইসলাম তার গোডাউন থেকে সরকারি চাল পিকআপভ্যানবোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এসময় তারা চালসহ গাড়িটি জব্দ করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩৫ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ডিলার জহিরুল ইসলামকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনন্দ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি। তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল ইসলাম চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন