সিলেটের গোয়াইনঘাটে বালুবোঝাই বাল্কহেড আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও নদীপথে বাল্কহেড গতিরোধে ব্যবহৃত দুটি ইঞ্জিন নৌকা জব্দ করে।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা উপজেলার ৪নং লেংগুড়া ইউনিয়নে লেংগুড়া গ্রামের গোয়াইনঘাট নদী পথে চাঁদাবাজি করতেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার মাটিকাপা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন ইমন, লেংগুড়া গ্রামের জিহাদ উল্লাহর ছেলে কুদরত উল্লাহ, মাহমুদ আলীর ছেলে তোফায়েল আহমদ, জমির উদ্দিনের ছেলে বদর উদ্দিন, তাহির আলীর ছেলে সুলেমান ও আ. ছালামের ছেলে রহিম উদ্দিন।
জানা গেছে, সরকারের ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে বালু নিয়ে যাওয়ার পথে লেংগুড়া গ্রামের ফয়সাল আহমেদের ছেলে আজমল হোসেনের (২৬) নেতৃত্বে সক্রিয় একটি চাঁদাবাজ চক্র অবৈধভাবে বালুবোঝাই প্রায় দুইশ বাল্কহেড আটক করে রাখে। এ নিয়ে ইজারাদাররা আজমলের সঙ্গে বিষয়টি নিরসনের জন্য বসলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এদিকে সুরাহা না পেয়ে প্রতিবাদে নৌ শ্রমিকরা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শনিবার গোয়াইনঘাট থানার সামনে বিক্ষোভ করেন।
পরে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে আজমল পালিয়ে গেলেও তার সহযোগী ৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় অভিযানকারী দল। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় দেশীয় অস্ত্র এবং অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, নৌপথে বালুবোঝাই বাল্কহেড আটকে রাখায় এবং এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি নৌ পথে চাঁদাবাজির সঙ্গে অন্যদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, নদীপথে বালুবাহী বাল্কহেড অবৈধভাবে আটকের খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মন্তব্য করুন