বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের পরিবারের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। তুহিনের স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানের জন্য ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে ফেনী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ফেনী সংবাদ পত্রিকার ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্বল্পতম সময়ে শেষ করতে হবে। বিচারহীনতার কারণেই সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুর্বৃত্ত চক্রের কালো হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনে ৬১ জন সাংবাদিক হত্যা এবং সাড়ে তিন হাজার সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। হাসিনা সরকার সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনকে এক ধরনের বৈধতা দিয়েছিল। ভিন্নমতের সংবাদমাধ্যম বন্ধ ও সম্পাদক-সাংবাদিক নিপীড়ন নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। এখন আর সাংবাদিক নিপীড়নে রাষ্ট্রীয় আশকারা নেই। হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এম আবদুল্লাহ আরও বলেন, সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা আইন শিগগির অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে। এ আইনে সাংবাদিকদের শারীরিক ও আর্থিক নিরাপত্তায় অনেক ভালো পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি দায়িত্বের বিষয়েও সচেতন থাকা জরুরি। তা না হলে এ সুরক্ষা টেকসই না-ও হতে পারে।
ফেনীকে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার সূতিকাগার হিসেবে বর্ণনা করে সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ বলেন, দেশের দিকপাল সাংবাদিকদের বেশিরভাগই ফেনীর মাটিতে জন্মেছেন। তাদের হাতে গড়া সাংবাদিকরা এখনো মিডিয়া জগতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফেনীর এই গৌরব ও অহংকার অক্ষুণ্ন রাখতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
ফেনী সংবাদ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা মুহিতের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও ফেনী পৌর প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, জেলা তথ্য অফিসার আল আমিন, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হান্নান, সেক্রেটারি আবদুর রহিম, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা মুজাফফর আহমদ জাফরী, ফেনী জেলা শিবিরের সভাপতি আবু হানিফ হেলাল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম সুজন, এনসিপির জেলা সংগঠক শাহ ওয়ালী উল্লাহ মানিক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন