টাঙ্গাইলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম দলটির এক বর্ধিত সভায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে সখীপুর খান মার্কেটে আয়োজিত ওই সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
বর্তমানে কাদের সিদ্দিকী সখীপুরের নিজ বাসায় চিকিৎসকদের পরার্মশ নিচ্ছেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সখীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সবুর খান অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে সখীপুর উপজেলার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে কাদের সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। এক পর্যায়ে তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে দলীয় নেতাদের বক্তব্য শুনছিলেন। দুপুর সোয়া ২টার দিকে কাদের সিদ্দিকী চেয়ার থেকে ঢলে পড়েন।
পরে নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গাড়িতে করে সখীপুরের নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। বর্তমানে বাসাতেই চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বাসাতেই চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন উল্লেখ করে উপজেলার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুস ছবুর খান বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকায় নেওয়া হবে। তবে আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থবোধ করছেন।
এর আগে সভায় অংশ নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা আ.লীগ ও শেখ হাসিনাকে চাই না কিন্তু জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধুকে চাই।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে গালি দিলে যেমন বঙ্গবন্ধুকে গালি দেওয়া হয় তেমনি জিয়াউর রহমানকেও গালি দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান একজন শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা, তাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ হাজার কথা বলতে পারে তাকে নিয়ে আমার বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ নেই। জিয়াউর রহমান আমার চেয়েও বড় মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ মেনে যারা রাজনীতি করবেন আমরা তাদের সঙ্গে আছি।
উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আ. ছবুর খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীবের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন সিদ্দিকী, উপজেলা যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আজাদ মিয়া, উপজেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাফি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন