বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার ইকবাল হোসেনকে (২৬) নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পাম্পের ক্যাশ কাউন্টারের ভেতর তাকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই পাম্পের আরেক কর্মী সেলসম্যান রতন পলাতক রয়েছেন। তাকেই এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন মনে করা হচ্ছে। রতনের বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায়।
নিহত ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। প্রায় আড়াই বছর ধরে তিনি এই ফিলিং স্টেশনে ক্যাশিয়ারের কাজ করছিলেন এবং বগুড়ার শিববাটি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পাম্প কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে ক্যাশিয়ার ইকবালের সঙ্গে ডিউটিতে ছিলেন সেলসম্যান রতন। ভোরে অন্য কর্মীরা কাজে এসে ক্যাশ কাউন্টারের ভেতরে ইকবালের নিথর দেহ দেখতে পান। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ইকবালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তবে হত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির কালবেলাকে বলেন, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইকবালের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ইকবালের সহকর্মী রতন পলাতক থাকায় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে আটক করা গেলে এই হত্যার রহস্য উন্মোচন করা সহজ হবে। তবে ফিলিং স্টেশনের টাকা পয়সা খোয়া গেছে কি না এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মাদ রায়হান কালবেলাকে জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির জন্য পিবিআই ও সিআইডিসহ পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে আমরা কাজ করছি।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ দ্রুত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে বলে আশা করছেন নিহতের পরিবার ও সহকর্মীরা।
মন্তব্য করুন