রাজধানীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। রাতভর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে ও বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানায় একাধিক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত এসপি (ক্রাইম) ছাইলাউ মারমা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন মুন্সি, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সোনারগাঁয়ের সাদীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য মো. হারুন, ৮নং ওয়ার্ড যুবদল কর্মী কাউসার আহমেদ রানা, মেহেদী, জাহিদ, সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব হাসান, আড়াইহাজার সাতগ্রাম ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মিয়া, আড়াইহাজার সাতগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফরহাদ খন্দকার, রূপগঞ্জের চনপাড়া ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, রূপগঞ্জের চনপাড়া ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, ফতুল্লা বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ হারুন।
তিনি বলেন, বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা পুরোনো মামলা ও নাশকতা মামলার ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালায়। এটি পুলিশের নিয়মিত কাজ বলে দাবি করেন তিনি।
তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের এক দফা দাবিতে ঢাকা মহাসমাবেশে যেতে বাধা দিতে পুলিশ পুরোনো মামলায় গণগ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। পুলিশকে চেকপোস্টে বাস, প্রাইভেট কার এবং অন্যান্য যাত্রীবাহী যানবাহন থামিয়ে চেক করতে দেখা গেছে। তারা যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করে, ‘তারা কোথায় যাচ্ছিল এবং এই যাত্রার উদ্দেশ্য কী?’ পুলিশ যাত্রীদের ব্যাগও তল্লাশি করে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্থানে তল্লাশি চালিয়ে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক মোড়ে রাজধানীর প্রবেশপথে দেখা গেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চেকপোস্ট।
শ্যামলী পরিবহনের বাসে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, মৌচাক মোড়সহ তিনটি পয়েন্টে তাদের থামানো হয়। পুলিশ চেকপোস্টে তাদের জিজ্ঞাসা করে ‘কোথা থেকে এসেছে এবং কোথায় যাচ্ছিল’ এবং ব্যাগগুলো পরীক্ষা করে। তারা সন্তুষ্ট হলে বাসটিকে চলাচলের অনুমতি দেয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, কোনো ব্যক্তি নাশকতার উদ্দেশ্যে গাড়িতে বিস্ফোরক বহন করছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এই ধরনের অনুসন্ধান চালিয়ে যাব।
মন্তব্য করুন