মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক পাখি শিকারির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাখি ধরার সরঞ্জামসহ ৩ প্রজাতির ৫টি শিকারি পাখি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এই পাখিগুলোকে কাজে লাগিয়ে অন্য পাখিদের ধরে বাজারে বিক্রি করত আজিজ মিয়া নামের এক শিকারি।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, সকালে শহরের বিরাইমপুর এলাকায় আজিজ মিয়া নামে এক লোকের বাড়িতে অভিযান করে পাখিগুলো উদ্ধার করি। আমরা পাখি ধরার সরঞ্জামসহ পাখিগুলোকে উদ্ধার করে রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে এসেছি। পাখিগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে শিগগিরই অবমুক্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) উপজেলার বিরাইমপুর এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়ি থেকে এই পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। পাখিগুলোর মধ্যে ছিল ১টি ডাহুক, ৩টি তিলা ঘুঘু ও ১টি কোড়া পাখি।
বন বিভাগের অভিযানে নেতৃত্ব দেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ওয়াইল্ডলাইফ জুনিয়র স্কাউট সুব্রত সরকার, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডও হতে পারে। একই অপরাধ ফের করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে।
পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া কোনো ব্যক্তি পরিযায়ী পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ বা দখলে রাখলে অথবা বেচা-কেনা করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
মন্তব্য করুন