কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রোগী সেজে যান ভারতে, প্লেনে ফিরছেন ‘ট্যাপেন্টাডল’ মাদক নিয়ে

মাদকদ্রব্যসহ এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
মাদকদ্রব্যসহ এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

রোগী সেজে ভারতে গিয়ে সেখান থেকে প্লেনে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ ‘ট্যাপেন্টাডল’ মাদক নিয়ে দেশে ফিরছেন একটি চক্র। বুধবার গোয়েন্দ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা থেকে আসা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটের পাঁচ যাত্রীকে তল্লাশি করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করা হয়, যা এযাবৎকালে মাদকের সবচেয়ে বড় চালান। পরে ওই পাঁচ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্ততারকৃতরা হলো মো. সোলাইমান, হৃদয় ইসলাম রাজু, এ কে এম আবু সাঈদ, আশিক সাইফ ও মো. ফারুক।

মো. রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, তল্লাশি করে সুলাইমানের ট্রলি ব্যাগের ভেতর থেকে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ৩০ হাজার পিস, হৃদয় ইসলাম রাজুর কাঁধে থাকা স্কুল ব্যাগের ভেতর থেকে চার হাজার পিস, আবু সাঈদের হাতে থাকা শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে তিন হাজার, সাইফের হাতে থাকা শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে তিন হাজার পিস, ফারুকের শপিং ব্যাগ থেকে ২ হাজার ২০০ পিস মাদক জাতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ট্যাপেন্টাডল মূলত ট্যাবলেট জাতীয় মাদক। ভারত থেকে বাংলাদেশে এই মাদক পাচারের মূলহোতা মো. সোলাইমান। তাকে জিজ্ঞাসা করে জানা গেছে, মাসে চার-পাঁচবার কলকাতায় যেত সে। প্রতিবারই বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসত। এ কাজে তার একাধিক সহযোগী ছিল। কৌশল হিসেবে তারা কলকাতা যেত যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রুট হিসেবে ব্যবহার করত। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪৭তম বিসিএসের প্রিলি আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা 

খেজুর খাওয়ার সেরা সময় কখন, খালি পেটে নাকি রাতে ঘুমানোর আগে?

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

জুমার দিন মসজিদে সামনের কাতারে জায়গাজুড়ে রাখা কি জায়েজ?

১৯ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, সুনামির সতর্কতা জারি 

ওষুধের দোকানে মদ বিক্রি, বাবা-ছেলেসহ আটক ৩

১৯ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

সীমান্তে ১২ রোহিঙ্গাকে পুশইন

৫ বছর পর এবি পার্টি থেকে আবার জামায়াতে ফিরলেন ৪০ নেতাকর্মী

১০

প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে : আমিনুল হক

১১

একটি মহল পিআরের নামে গণতন্ত্র নস্যাতের পাঁয়তারা করছে : টুকু

১২

ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র ফোরামের নবগঠিত কমিটি অনুমোদন

১৩

তিতুমীর কলেজ ক্যান্টিনে ফ্যান বসালেন ছাত্রদল নেতা রিমু

১৪

বগুড়ায় আগুনে নিঃস্ব তিন পরিবারের পাশে তারেক রহমান

১৫

শেষ হলো ঢাকা জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলা

১৬

ট্রাম্পের হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ

১৭

এনসিপির সেই নেত্রীকে অব্যাহতি

১৮

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা

১৯

ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে লঙ্কান ক্রিকেটারের বাবার মৃত্যু

২০
X