বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির ছয় দফা দাবি না মানলে আগামী ১ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন।
তাদের দাবিসমূহ:
১. প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধনী ফলক (যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম অঙ্কিত ছিল এবং স্থানটি শেখ হাসিনা চত্বর নামে পরিচিত) ভেঙে ফেলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. আপগ্রেডেশন নীতিমালার অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণ করতে হবে।
৩. মো. মইনুল ইসলাম ইংরেজি বিভাগ, মো. ইব্রাহীম শেখ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মো. হুমায়ূন কবির আইন বিভাগ, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষভাবে আপগ্রেডেশন নিশ্চিত করতে হবে।
৪. আপগ্রেডেশন প্রাপ্যতার তারিখ থেকে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপগ্রেডেশন সম্পন্ন না হলে ৯১তম (একানব্বই) দিন থেকে আপগ্রেডেশন প্রাপ্যতার তারিখ বলে বিবেচিত করতে হবে।
৫. ২৭ ও ২৮তম রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষাছুটির বিপরীতে আপগ্রেডেশন প্রাপ্ত শিক্ষকদের ডিউডেট গণনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের আলোকে ডিউডেট সুবিধা প্রদান করতে হবে।
৬. পাশকৃত পারিতোষিক নীতিমালার সংশোধন পাশ করে সেই কপি বিভাগসমূহে সরবরাহ করতে হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য একিউএম মাহবুবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে দাবিগুলো করছে এগুলো আমার হাতে না। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রিজেন্ট বোর্ড বসবে দাবিগুলা তুলব এবং আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব। চাইলেই পাশ হয়ে যাবে তাহলে রিজেন্ট বোর্ড আছে কি জন্য, মন্ত্রণালয় আছে কি জন্য, ইউজিসি আছে কি জন্য? দাবি তো ধীরে ধীরে হবে, সব তো এক দিনে হবে না। দুই দিন পর পর কতগুলো দাবি দিব আর হবে না, এই জন্য ক্লাস বন্ধ করে দিব। ক্লাস বন্ধ করে কি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি করব তাই না? অত সহজ না।’
শিক্ষক সমিতির ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারির সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে তিন বছর ধরে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, দিতে দিতে ওনাদের যত দিই তত চায়, যত দিই তত চায়। আমার হাতে সব নাই, রিজেন্ট বোর্ড দিলে হবে নাইলে হবে না।’
করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগই সেশনজটে রয়েছে এদিকে শিক্ষকদের এমন ঘোষণাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ কাজ করছে।
মন্তব্য করুন