সাংবাদিকতায় একটি বড় ক্ষেত্র হলো কৃষি সাংবাদিকতা। কৃষি সাংবাদিকতার পরিসর এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কৃষি সাংবাদিকতা শেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের অনেক অর্জনই প্রচারের অভাবে জাতির কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। সাংবাদিকরা তাঁদের লেখনীর মাধ্যমেই এ প্রচারের কাজটি করে যাচ্ছে। তবে সাংবাদিকতায় পজিটিভ এবং নেগেটিভ দুইটি দিকই থাকবে। কোনো অন্যায় হলে সেটির প্রচারে সাংবাদিকদের কলম চেপে রাখা শোভনীয় নয়। সাংবাদিকদের হাত ধরেই সকলের সামনে অন্যায়গুলো উঠে আসবে এবং তা নির্মূল হবে।
২৭ জানুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মিনি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) বার্ষিক দায়িত্ব হস্তান্তর ও বিদায়ী সংবর্ধনা-২০২৩ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে বাকৃবিসাসের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুণ-অর-রশিদ এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় ১৪ সদস্যবিশিষ্ট নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৪ ঘোষণা করেন বাকৃবিসাসের সাবেক সভাপতি অশিকুর রহমান । কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের বাকৃবি প্রতিনিধি মো. রাফি উল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক কালবেলার বাকৃবি প্রতিনিধি মো. সাকিব আল তানিউল করিম জীম।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি পরিবারের মতো। পরিবারের মতো এখানেও কিছু ভুলত্রুটি থাকবেই। সেই ভুলত্রুটিগুলো পত্রিকার পাতায় তুলে ধরলে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকার হয় তাহলে সে বিষয়টি অবশ্যই সংবাদ আকারে প্রকাশ করতে হবে। যেকোনো সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথাটি মাথায় রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা নিজের জীবন পর্যন্ত বাজি রাখেন। বাকৃবির সাংবাদিকদেরকেও একই নীতিতে কাজ করতে হবে। ।
আমরা চেষ্টা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে টিভি চ্যানেলগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য। প্রতিদিন একঘন্টা করে তাদের পর্দায় আমরা সময় দিবো এবং কৃষির উন্নয়ন ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করব। বাকৃবির সাংবাদিকদেরকে আমি সেভাবেই প্রস্তুত হতে বলবো। তাঁরা যেন মাল্টিমিডিয়ার সাথে খাপ খাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে পারে সে লক্ষ্যেই তাদের প্রস্তুতি নিতে বলব আমি।
মন্তব্য করুন