কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১৮ এএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
কোটা সংস্কার আন্দোলন

আহতরা সুস্থ হলেও থেকে যাবে ক্ষতচিহ্ন

পঙ্গু হাসপাতাল। ছবি : সংগৃহীত
পঙ্গু হাসপাতাল। ছবি : সংগৃহীত

দাবি পূরণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেমে গেছে। সেই আন্দোলন পুঁজি করে যে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেটিও এখন নিয়ন্ত্রণে। সংঘাতে যারা আহত হয়েছেন, তাদের অনেকেই হাসপাতালে শয্যাশায়ী। কারও অস্ত্রোপচার শেষে হয়েছে, কারও কারও আবার প্রয়োজন হচ্ছে অস্ত্রোপচারের। একসময় তারাও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু শরীরে গুলি ও আঘাতের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াতে হবে সারাজীবন।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা বিষয়ে খোঁজ নিতে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এবং রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

পরিদর্শন শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা আহতদের চিকিৎসায় নিরলসভাবে কাজ করা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

সাভারের ব্যাংক মডেল টাউন এলাকার ইশরাক হোসেনের একমাত্র ছেলে ইমন। কারফিউর মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে বাসার সামনের রাস্তায় ফুটবল খেলতে গিয়ে পা ভেঙে ফেলেন। সিট খালি না থাকায় ইমনকেও ভর্তি রাখেনি জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)।

জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, নিটোরে এখন আর সিট ফাঁকা নেই। জটিল রোগীও ভর্তি রাখতে পারছে না। কারণ, চলমান সংঘাতে এখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৮৭ জন ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৪৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখনো ভর্তি আছেন ৪২ জন। তাদের কয়েকজন বলেন, এই গুলির চিহ্ন আমাদের সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তথ্যমতে, গত ১৮ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত চলমান সংঘর্ষে চোখে গুলি ও অন্যান্য আঘাত নিয়ে আহত হয়ে ৪২০ জন রোগী এসেছিলেন। তাদের মধ্যে ৩১৪ জনকে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ২৭৪ জনের। এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫ জন। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যাপক জানান, এখানে যারা চিকিৎসাধীন ছিলেন বা আছেন, তাদের অনেকের চোখ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা আর কখনোই সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে সহিংসতায় আহত হয়ে কোনো শিশু ভর্তি হয়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আগের চেয়ে রোগীর চাপ কম থাকলেও হাসপাতালটিতে কোনো শয্যা খালি নেই বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. ইয়াসির রহমান।

তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে আগের চেয়ে শিশু হাসপাতালে রোগীর চাপ কিছুটা কমেছে। সংকটময় পরিস্থিতির আগে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ রোগী শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসত।

এখন প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ জন রোগী আসছে। তবে হাসপাতালের শয্যাও ফাঁকা নেই। তথ্য প্রকাশের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, সংঘর্ষে আহত কয়েকজন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে গ্রেপ্তার করবে : শাহজাহান চৌধুরী

মারা গেলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখ নজরুল ইসলাম

আপনি কি জানেন, কেন তালার নিচে ছোট্ট ছিদ্র থাকে?

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের আকস্মিক মৃত্যু

‘নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন রাবির সাবেক শিক্ষার্থী

পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি : শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের রায় ২৭ নভেম্বর

২৪ ঘণ্টায় ৯১ ভূমিকম্প

গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর

ছেলেটাকে খুব ছুঁয়ে দেখতে মন চায়: মাহিয়া মাহি

হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১০

আসবাবের যেসব রং ঘরকে সুন্দর ও আরামদায়ক দেখাবে

১১

বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

১২

বড় জয়ে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১৩

রাত হলেই শিশুপার্কটি হয়ে ওঠে মাদকের আড্ডাখানা

১৪

অপেক্ষা বাড়ছে বাংলাদেশের, দরকার ২ উইকেট

১৫

আয়ারল্যান্ড সিরিজে থাকছেন না তাসকিন, বদলি কে

১৬

নদীগর্ভে বিলীন সড়ক, ৩ জেলার যোগাযোগে দুর্ভোগ

১৭

অসৎ লোককে নির্বাচিত করলে কপালে ভোগান্তিই আসবে : দুদক চেয়ারম্যান

১৮

বড় আকারের ভূমিকম্প মোকাবিলা নিয়ে উদ্বেগ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

১৯

দুই দিনে টেস্ট জিতে বড় ‘বিপদে’ অস্ট্রেলিয়া

২০
X