আমরা অনেকেই খাবার পচে গেলে সেটা সহজেই বুঝতে পারি, কিন্তু মসলার ক্ষেত্রে? খেয়াল করে দেখেছেন কখনও? নাকি বছরের পর বছর ধরে সেই পুরনো গুঁড়া দারুচিনি, মরিচ বা হলুদই চলছে!
চিকিৎসকরা কিন্তু বলছেন, মেয়াদ পার হয়ে যাওয়া মসলা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে না পারলেও, খাবারের স্বাদ একেবারে মাটি করে দেয়। তাহলে আর দেরি কেন? একবার দেখে নিন আপনার ঘরের মসলা কতটা ‘ফ্রেশ’ আছে।
আরও পড়ুন : বারবার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে? এখনই সতর্ক হোন!
আরও পড়ুন : ভাতের সঙ্গে কাঁচামরিচ খাওয়া কি সত্যিই উপকারী? জানালেন পুষ্টিবিদ
আস্ত মসলা (গোলমরিচ, জিরা, লবঙ্গ, দারুচিনি স্টিক): ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে ৩-৪ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।
গুঁড়া মসলা (হলুদ, মরিচ, আদা গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া): সাধারণত ২-৩ বছর টেকে।
শুকনো ভেষজ (ধনেপাতা, পার্সলে, তেজপাতা, পুদিনা): প্রায় ১-৩ বছর ভালো থাকে।
লবণ: এই জিনিসটা চিরকাল থাকে। মেয়াদ শেষ হয় না।
গন্ধ নেই? ঘষলে কোনো রং বা সুগন্ধ বের হচ্ছে না? খাবারে ফ্লেভার আসছে না?
বুঝে নিন, এই মসলার জীবন শেষ। বিদায় জানান। নষ্ট মসলা মানে এটা খেলে আপনি অসুস্থ হবেন না ঠিকই, কিন্তু খাবারের স্বাদ যাবে হারিয়ে।
- চুলার পাশে রাখবেন না।
- আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন।
- কাচ বা সিরামিক পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
- মসলায় চামচ ব্যবহার করুন, সরাসরি গরম খাবারে না দিন।
- পোস্ত ও তিল ফ্রিজে রাখুন।
- লাল মসলা (পেপারিকা, চিলি ফ্লেক্স) ফ্রিজে রাখলে রং থাকে।
ছোট্ট যত্নে মসলার স্বাদ ঠিক থাকবে, খাবারও হবে সুস্বাদু।
আরও পড়ুন : রান্না না কাঁচা— কোন ছোলা বেশি উপকারী? পুষ্টিবিদের উত্তর জানুন
আরও পড়ুন : পাঙাশ মাছ কি সত্যিই শরীরের জন্য ক্ষতিকর, যা বলছেন পুষ্টিবিদ
রান্নাঘরে ঢুকে একবার ঝাঁকুনি দিন – কে থাকবে, কে যাবে, তা ঠিক করুন। পুরনো মসলার পেছনে ভরসা না রেখে এবার নতুন ফ্রেশ ঘ্রাণে রান্নার আনন্দ নিন!
এখন আপনার পালা – যাচাই করে দেখুন, আপনার মসলারা কতটা 'তাজা' আছে!
সূত্র: হেলথলাইন
মন্তব্য করুন