কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ, অনুসন্ধান করবে দুদক

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের একটি চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁয় বিপরীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরিপেক্ষিতে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমি নওরোজ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আক্তার হোসেন বলেন, ‘এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যাদি যাচাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

জানা গেছে, সামান্য ব্যবসার বিপরীতে এত বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া সম্ভব হয়েছে খোদ ব্যাংক মালিকের বিশেষ আগ্রহে। ফলে ঋণ শোধ না করে দিব্যি বিলাসী জীবনযাপন চালিয়ে আসছেন তিনি। এ ছাড়া ঋণ শোধ না করে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের খুশি রাখতেন ‘জোরপূর্বক উপহার’ দিয়ে। ব্যাংকের মালিকপক্ষও ঋণ পরিশোধ না করার সুবিধাটি অব্যাহত রাখতে তা খেলাপি না দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অশ্রেণিবদ্ধ (আনক্লাসিফায়েড) করে রাখে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লা এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁটির নামে ২ কোটি টাকার ঋণসীমা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নাজমি নওরোজ উত্তোলন করেছেন ৭০ কোটি টাকা, যা সুদ-আসলে ১১৭ কোটি টাকা হয়েছে। তিনি এই টাকা নিয়েছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দিঘির পাড়ের মহিলা শাখা থেকে। একই প্রতিষ্ঠানের নামে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে তিনি ঋণ নেন ৫৪ কোটি টাকা, যা সুদে-আসলে এরই মধ্যে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হয়েছে। এর বাইরে ব্যাংকটির চকবাজার শাখা থেকে ২৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। তবে চকবাজার শাখার পুরো টাকা এস এলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদ নিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন নাজমি নওরোজ।

আসকার দিঘির পাড়ের মহিলা শাখার মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে লেনদেনের শুরু হয় নাজমি নওরোজের। বর্তমানে এই ঋণ সুদে আসলে ১১৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ব্যাংকের চাপাচাপিতে ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি শুধু ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। তবে ঋণের টাকা অশ্রেণিবদ্ধ (আনক্লাসিফায়েড) তালিকায় দেখানো হয়।

ব্যাংক সূত্র জানায়, মালিকপক্ষ চায়নি বলে নাজমি নওরোজকে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়নি। তাই ঋণটিকে অশ্রেণিবদ্ধ করে রাখা হয়। অবশেষে গত আগস্ট মাসে তাকে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো হয় এবং পাওনা আদায়ে মামলা করা হয়।

ব্যাংক সূত্র জানায়, নাজমি নওরোজ ব্যাংক থেকে যে টাকা উত্তোলন করেন, বছর শেষে তা পরিশোধ না হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো কথা বলেনি। তবে ব্যাংকের টাকা ফেরত না পাওয়ায় শাস্তি হিসেবে আটকে দেওয়া হয় একাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন ফজলুর রহমান

বেগুন গাছে ভাইরাসের আক্রমণ, ফলন নিয়ে শঙ্কা 

বাবরি মসজিদ নির্মাণ / হুমায়ুনের বাড়িতেই মিলল ৯৩ লাখ ও ১১ ট্রাংকভর্তি টাকা

বার্সা ছাড়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন রাফিনিয়া

আজ ফের ব্লকেড কর্মসূচিতে নামছেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

ফেসবুকে কমেন্টস করা নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

বয়সের পার্থক্যের প্রেম কি সত্যিই এত সমালোচনার যোগ্য

‘জেমস বন্ড’ চরিত্রে অভিনয় নিয়ে যা বললেন শাহরুখ

ট্রাইব্যুনালে হাজির বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

আধুনিক ঢেঁকিতে ঐতিহ্যের ছোঁয়া

১০

ফুটসাল বিশ্বকাপের প্রথম চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল

১১

জামায়াত আমিরের সঙ্গে ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

১২

পুলিশকে ছুরি মেরে পালাল আসামি

১৩

নিজ ঘরে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২

১৪

পাকিস্তানের হামলায় ২৩ আফগান তালেবান সেনা নিহত

১৫

সংসদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট শুনানির জন্য কার্যতালিকায়

১৬

সান্তোসকে অবনমন থেকে বাঁচালেন নেইমার

১৭

খুলনার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যশোরে গ্রেপ্তার

১৮

সেল্টার কাছে রিয়ালের বিব্রতকর হার

১৯

ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন

২০
X