গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার কথা জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে এনসিপির ১৫০ আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হচ্ছে এনসিপির সঙ্গে। নিবন্ধন নিয়ে সুখবর আসছে। সাদা শাপলা, লাল শাপলা বা শাপলা প্রতীক চায় এনসিপি। এর বাইরে কোনো প্রতীক এনসিপি চায় না। শাপলা প্রতীক বিধিমালায় না থাকলেও প্রয়োজনে ইসি তা আবার সংযুক্ত করবে। শাপলাই চায় এনসিপি।’
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, ‘১৫০ আসনে এনসিপির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মাঠ জরিপে এমনটাই দেখা গেছে। নারী, সাংবাদিক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, আলেমদের থেকে প্রার্থী দেবে এনসিপি। কয়েকটি নির্বাচনী জোট হচ্ছে। এনসিপি বিএনপি বা জামায়াতের জোটে যাচ্ছে না। সামনে দীর্ঘ লড়াই রয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লড়াই করে আসা তরুণরা এনসিপির ব্যানারে যোগ দেবে।’
বিএনপির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ৫০ থেকে ১০০টি আসন পেতো। এখন তারও নিচে নেমে যাবে।
নারীরুদ্দীন বলেন, ‘যারা এনসিপির অধীনে আসবে তারা এনসিপির প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করবে। দুইটি দলের কারণে নিবার্চনে বিলম্ব হচ্ছে। আপনাদের অনুরোধ জুলাই সনদে দ্রুত সাক্ষর করুন।’
আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি থাকবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যালট রেভোলিউশন হবে। সকল ধর্ম ও জাতিসত্তা নিয়ে সংসদে যাবে এনসিপি।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এনসিপির অন্যতম শীর্ষ এ নেতা। একই সঙ্গে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও সংস্কারের বিষয়ে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচন চায় না বলে এনসিপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে৷ এই নির্বাচনকে গণপরিষদ নির্বাচন-এর আদলে নেওয়া যায় কিনা। আরেকটি গণঅভ্যুত্থান চায় না এনসিপি। বিদেশী শক্তিগুলোর বলয় থেকে মুক্তি পেতে চায় বাংলাদেশ।’
মন্তব্য করুন