কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আদিলুরের কারাদণ্ডাদেশে রাষ্ট্রীয় রোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে : সাইফুল হক

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। ছবি : কালবেলা
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। ছবি : কালবেলা

মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দীন এলানের কারাদণ্ডের রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারপূর্বক তাদের মুক্তি দাবি করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। একইসাথে নিবর্তনমূলক সব কালাকানুন বাতিল করারও দাবি জানান তিনি। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সাইফুল হক।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, আদিলুর ও এলানের সাজা এবং কারাদণ্ডাদেশে রাষ্ট্রীয় রোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই রায়ে এটা আরও একবার প্রমাণিত হলো যে, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কত শোচনীয়! অধিকারের মতো শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থার দুই প্রধান ব্যক্তিকে যদি সরকারের কথিত ভুল তথ্যের জন্য এক দশক ধরে হয়রানিমূলক মামলায় ধারাবাহিক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয় এবং সর্বশেষে আদালতের রায়ে দুই বছরের দণ্ডাদেশ আর জরিমানা গুণতে হয়, সেটা যে মানবাধিকারের চরম লংঘন তা অত্যন্ত স্পষ্ট। এই রায়ে যে বিরুদ্ধ মত ও স্বাধীন তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে- তাও পরিষ্কার।

তিনি উল্লেখ করেন, গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসসহ গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের তথ্য প্রকাশ করে জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় বহু বছর ধরে অধিকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে। মানবাধিকারের পক্ষে তাদের তৎপরতা মানুষের ভরসারও জায়গা হয়ে উঠেছে। তাদের নিবেদিতপ্রাণ তৎপরতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেই প্রশংসিত হয়েছে। তাদের সহায়তার পরিবর্তে সরকার তাদের তহবিল বন্ধ করে দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।

বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, বিতর্কিত আইসিটি আইনের আওতায় দায়ের করা হয়রানিমূলক এই মামলা বহু আগেই তার 'মেরিট' হারিয়েছে। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে সর্বশেষ সাইবার নিরাপত্তা আইন পাসের পর এসব মামলা বাতিল হবার কথা। অথচ সরকার বাতিল হওয়া আইনের মামলাগুলোকেও স্বাধীন মতপ্রকাশ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আসছে।

তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থাকে তাদের অনুগত করে ফেলেছে। বিরোধী মত ও বিরোধী দল দমনে তারা বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করছে। এই পরিস্থিতি দেশে আইনের শাসনকে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তরুণদের আদর্শ হবে শহীদদের ত্যাগ : চসিক মেয়র

আখাউড়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু

বিবিসির বিশ্লেষণ / তুরস্ক কেন প্রকাশ্যে ভারতের বিরোধিতা করে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে?

সমাজে ভারসাম্যের জন্য কোরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই : নূরুল ইসলাম বুলবুল 

ইউনাইটেড হাসপাতালের ৩০ কোটি টাকা কর বকেয়া : ডিএনসিসি প্রশাসক

চট্টগ্রামে কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞদের মিলনমেলা

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় এবি পার্টির আনন্দ মিছিল

পুলিশকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে ফের অটোরিকশার দাপট চট্টগ্রামে

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল খেলাফত মজলিস

স্থানীয় সরকারকে সংসদীয় ব্যবস্থার আদলে সাজানোর পরামর্শ সংস্কার কমিশন প্রধানের

১০

দেশে কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনীতি হবে না : আমীর খসরু

১১

রাজনীতিবিদদের এখন সংস্কার নিয়ে আগ্রহ নেই : সংস্কার কমিশনের প্রধান

১২

গোসলের সময় বজ্রপাতে প্রাণ গেল যুবকের

১৩

৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ তরুণ সালমানের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান 

১৪

নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১৫

এতিমদের খাওয়ালেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী

১৬

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর প্রতি ডিআইজি মল্লিকের কড়া হুঁশিয়ারি

১৭

আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন

১৮

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশে আ.লীগের প্রচারণার বিষয়ে আসিফ মাহমুদের স্ট্যাটাস

১৯

যশোরে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষ

২০
X