পাঁচ ম্যাচে ১০.৯০ গড়ে ১১ উইকেট—টুর্নামেন্টসেরা বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয়। দাপুটে এক লিগ কাটিয়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ। গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের হয়ে এমন পারফরম্যান্সের পরও অতৃপ্ত ডানহাতি এই পেসার। ফাইনালে উঠেও শিরোপা ছুঁতে না পারার আক্ষেপ তার। তবে পাঁচটি ভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের সঙ্গে খেলতে পারার অভিজ্ঞতাকে বড় করে দেখছেন তিনি। সাফল্যের পেছনে রহস্যও জানিয়েছেন তিনি।
গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে চারটি করে মোট ৮ উইকেট নেন খালেদ। দুই ম্যাচেই তার বোলিং ভেলকিতে ভড়কে যান প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। শেষের দিকে শুরুর ছন্দটা ঠিকঠাক না থাকলেও সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন তিনি। তার পরও অতৃপ্ত খালেদ। মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালো হয়েছে বলব না, তবে আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো। আমার চেষ্টা ছিল আমি যেন যতটা সম্ভব সহজ থাকি এবং দলকে ভালো কিছু দিতে পারি।’
সাদা বলের ক্রিকেটে খুব একটা সুযোগ হয় না খালেদের। লাল বলেই নিয়মিত তিনি। তবে যতবার খেলার সুযোগ মিলেছে নিজের পারফরম্যান্সের ছাপ রেখেছেন। বিপিএল থেকেই জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ শট টেইটের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তার। তার পরামর্শ মেনেই নাকি বোলিংয়ে সফল হচ্ছেন তিনি, ‘শন টেইটের সঙ্গে কথা হয়। সে একটা কথাই বলেন, যা আমি বিপিএলের সময়েও বলেছি। সে আমাকে সিম্পল খেলতে বলেছেন এবং বিভ্রান্ত না হতে বলেছেন। কারণ বিভ্রান্ত হলে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। সে আমাকে যতটা সম্ভব সিম্পল ও সোজাসাপ্টা থাকতে বলেছেন।’
শুধু তাই নয়। এবারের গ্লোবাল সুপার লিগে বিশেষজ্ঞ পেস বোলিং কোচ ছিল না রংপুরের। জাতীয় দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় ব্যস্ত ছিলেন টেইটও। কিন্তু খালেদ নিজ উদ্যোগে দেশি কোচদের সহায়তা নিয়েছিলেন; মিলেছে সাফল্যের দেখাও, ‘খেলার আগের দিন নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে কী করলে ভালো হয়। যেহেতু আমাদের কোনো বিশেষজ্ঞ পেস বোলিং কোচ ছিলেন না, তাই আমি শন টেইটকে পাইনি। তখন আমি নাজমুল ভাইকে ফোন করেছিলাম এবং তিনিও একই কথা বলেছিলেন—প্রতিটি ওভারে কীভাবে খেলায় ফেরা যায়, সেই চিন্তা করতে।’
ছোট ছোট পরিবর্তনেই খালেদ পেয়েছেন সাফল্য। ভবিষ্যতে সাদা বলে আরও ভালো করার প্রত্যয় তার।
মন্তব্য করুন