কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম
আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, ০১:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফের চালু হলো ৭৫০ বছরের পুরোনো মসজিদ

মিসরে ফের চালু হওয়া সাড়ে সাতশ বছরের পুরোনো মসজিদ। ছবি : সংগৃহীত
মিসরে ফের চালু হওয়া সাড়ে সাতশ বছরের পুরোনো মসজিদ। ছবি : সংগৃহীত

৭৫৫ বছরের একটি পুরোনো ঐতিহাসিক মসজিদ পুনরায় চালু করেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসর। মসজিদটির নাম আল-জাহির বাইবারস মসজিদ। দীর্ঘ সংস্কারের পর ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত এ মসজিদটি সোমবার খুলে দেওয়া হয়েছে। অতীতে এই মসজিদটি কখনো সাবান কারখানা, কখনো দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে ত্রয়োদশ শতকের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি অতীতে বছরের পর বছর ধরে সাবান কারখানা, কসাইখানা এবং দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে দীর্ঘ সংস্কারের পর সোমবার সেটি ফের চালু করা হয়।

রয়টার্স বলছে, ১২৬৮ সালে মামলুক শাসনের অধীনে নির্মিত এই মসজিদটি মধ্য কায়রোর ঠিক উত্তরে তিন একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটি মিসরের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ।

মসজিদটির সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধান করেছেন তারেক মোহাম্মদ আল-বেহারি। রয়টার্সের কাছে তিনি তার সংস্কার কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

তারেক মোহাম্মদ আল-বেহারি বলেন, ‘মসজিদটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অনেক কষ্ট করেছি আমরা। যান্ত্রিক সংস্কার চালানোর পাশাপাশি রাসায়নিক সংস্কার কার্যক্রমও চালানো হয়েছে। অনেক পুরোনো স্থাপনা হওয়ায় মসজিদের কিছু অংশ আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। এবার সংস্কার করার সময় কিছু অংশ ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয়েছি আমরা। কারণ ওই অংশগুলো কাঠামোগতভাবে মসজিদের অংশ হিসেবে একেবারেই অনুপযুক্ত। প্রত্নতাত্ত্বিক শৈলী মেনে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা কোনো আপস করিনি। মসজিদটিকে একেবারে আগের মতো পুনর্গঠনের ব্যাপারে আমরা খুব আগ্রহী ছিলাম।’

রয়টার্স জানিয়েছে, ঐতিহাসিক এই মসজিদটির সংস্কার কার্যক্রমে ব্যয় হয়েছে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালে এই সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সংস্কার কার্যক্রমে মিসরকে সাহায্য করেছে মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তান।

বার্তা সংস্থাটি বলছে, নির্মিত হওয়ার পর থেকে মসজিদটি ধর্মীয়ভাবেই চালু ছিল। তবে ২২৫ বছর আগে মসজিদটি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় এটি পরিত্যক্ত বা ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়ে আসছিল। আর এর ফলেই কালের পাতা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় ঐতিহাসিক এই মসজিদটি।

ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, মিসরে নেপোলিয়নের অভিযানের সময় এই মসজিদটি একটি সামরিক দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তারপর ১৯ শতকে অটোমান শাসনের অধীনে এটি ব্যবহৃত হয় একটি সাবান কারখানা হিসেবে। পরে ১৮৮২ সালে ব্রিটিশরা মিসরে আক্রমণ করলে এটি একটি কসাইখানা হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।

মিসরে ১২৫০ সাল থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত টানা তিন শতাব্দীজুড়ে বিস্তৃত ছিল মামলুক শাসন। এই রাজবংশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আল-জাহির বাইবারস। মিসরের মাটিতে মামলুক শাসনকে দৃঢ় করার অন্যতম কৃতিত্ব ছিল তার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে বাবার গুলিতে টেনিস তারকা নিহত

এখনই বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি

সন্ধ্যার মধ্যে ৬ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

শিল্পার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন সঞ্জয়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২০ কিমি যানজট, যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে 

নাক ডাকার সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন সমাধান

বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু

বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা, যা বললেন নেহা

১২ শিক্ষকের সেই স্কুলে এবারও সবাই ফেল

১০

দ্বিতীয় দিনের বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শেষ

১১

এসএসসিতে আমিরাতের ২ প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৭২ শতাংশ

১২

এক দেশে ৩৫%, অন্যদের ২০% শুল্কের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

১৩

এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন

১৪

গাজায় বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সেনা নিহত, উত্তেজনা চরমে

১৫

প্রথম প্রেম ভুলতে পারেননি আনুশকা

১৬

রাবিপ্রবিতে প্রথমবার ছাত্রদলের কমিটি

১৭

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় রংপুরের জয়

১৮

প্রতিদিন ১৫ মিনিট হাঁটলেই ৭ পরিবর্তন আসবে আপনার

১৯

কক্সবাজারে এসএসসিতে ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২০
X