কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘ভারতের দিকে ১৩০ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তাক করা আছে’

পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার ভয়াবহ হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এবং ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আব্বাসি ঘোষণা করেছেন, পাকিস্তানের ১৩০টিরও বেশি পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শুধু ভারতকে নিশানা করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এসব ক্ষেপণাস্ত্র তোমাদের (ভারতীয়দের) দিকেই তাক করা আছে। এগুলো এমনি এমনি সাজিয়ে রাখা হয়নি।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই প্রতিবেশী পারমাণবিক শক্তিধর দেশের নেতাদের এমন বক্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে এবং বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক নীতিমালা ‘ফুল স্পেকট্রাম ডিটারেন্স’ মূলত যে কোনো ধরনের ভারতীয় আক্রমণ প্রতিরোধে ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পথ সুগম করেছে। এর লক্ষ্য, ভারতীয় সামরিক নীতির সম্ভাব্য আগ্রাসন ঠেকানো এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।

অন্যদিকে, ভারতের ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’ পরিকল্পিত হয়েছে সীমিত আকারে দ্রুতগতির সামরিক অভিযান চালানোর উদ্দেশ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপরীতমুখী সামরিক কৌশলগুলো দুই দেশের মধ্যে যে কোনো সংঘর্ষের দ্রুততর বিস্তার ঘটাতে পারে, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে এক প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করেছে। যদিও ভারত সরকার এখনো কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ আন্তর্জাতিক মহলের সামনে উপস্থাপন করেনি, তারা অতীতের উদাহরণ দেখিয়ে দাবি করেছে, পাকিস্তান ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিনের পৃষ্ঠপোষক। এ ধরনের অভিযোগ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও তিক্ত করে তুলেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় দুটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি গোটা বিশ্বের জন্যই এক ভয়াবহ হুমকি। অতীতে যখনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ বা সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা বেড়েছে, আন্তর্জাতিক মহল শান্তির আহ্বান জানিয়েছে। এবারও জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলো দুই দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এখনকার পরিস্থিতিতে যদি সংঘাতের সূত্রপাত হয়, তাহলে তা সীমিত পর্যায়ে না থেকে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে পারমাণবিক সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে, যার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে পুরো বিশ্ববাসীর জন্যই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর হামলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারুণ্যের শক্তিই দেশে পরিবর্তনের প্রধান চালিকাশক্তি : জুয়েল

জাতিসংঘ সভাপতির পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে কৃতজ্ঞতা ফিলিস্তিনের

জুমার নামাজে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ইমামের

জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করলে ভোট চাইতে হয় না : হাসনাত

জিয়াউর রহমান অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন : চসিক মেয়র

কর্মসংস্থান তৈরিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল

অনির্দিষ্টকালের অনশন কর্মসূচিতে সুমুদ ফ্লোটিলার আটক অভিযাত্রীরা

১০০ আসনে প্রার্থী দেবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি 

৭০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করল লালমনিরহাট যুবদলের নেতাকর্মীরা

১০

‎প্রেম করে বিয়ে, বউকে ঘরে তোলা হলো না খালেকের

১১

অর্থহীনের নতুন গান ‘উন্মাদ’

১২

মিউনিখ বিমানবন্দরে রহস্যজনক ড্রোন, আতঙ্কে ফ্লাইট বাতিল

১৩

গর্ভাবস্থায় কী খাবেন, কী খাবেন না? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

১৪

শাপলা প্রতীক বরাদ্দ প্রশ্নে এনসিপির ব্যাখ্যা

১৫

১২ ঘণ্টা পর ফেসবুক পেজ ফেরত পেল ইসলামী ব্যাংক

১৬

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গুলতেকিন খানের বিস্ফোরক পোস্ট 

১৭

গাজামুখী সুমুদ ফ্লোটিলা আটক, জমিয়তের তীব্র নিন্দা

১৮

রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

১৯

গহিন পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৩৮ জন উদ্ধার

২০
X