সৌদিতে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক হাজার পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি জাতীয় পরিষদে জানিয়েছেন, গত ১৬ মাসে সৌদি আরবসহ ৬টি দেশ থেকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ৫ হাজার ৪০২ পাকিস্তানি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে পাঁচ হাজার ৩৩ জন এবং ইরাক থেকে ২৪৭ জন ফেরত এসেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ৫৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যারা পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চার হাজার ৮৫০ জন এবং চলতি বছরে ৫৫২ জন ফেরত এসেছেন। প্রদেশভিত্তিক তথ্যে দেখা গেছে, সিন্ধু প্রদেশের দুহাজার ৭৯৫ জন এবং পাঞ্জাবের এক হাজার ৪৩৭ জন এই তালিকায় রয়েছেন। এছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে এক হাজার দুজন, বেলুচিস্তান থেকে ১২৫ জন, আজাদ কাশ্মীর থেকে ৩৩ জন এবং ইসলামাবাদ থেকে ১০ জন ফেরত এসেছেন।
অন্যদিকে, আফগান শরণার্থীদের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে অবৈধ বিদেশি প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনার (আইএফআরপি) আওতায় ১০ লাখের বেশি অবৈধ আফগানিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েঠেছ। এর মধ্যে আফগান সিটিজেন কার্ডধারীরাও (এসিসি) রয়েছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থী কনভেনশন বা ১৯৬৭ সালের প্রটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়, তাই এই প্রত্যাবর্তনে কোনো আন্তর্জাতিক আইনি জটিলতা নেই।
বর্তমানে পাকিস্তানে আট লাখ ১৩ হাজার ১৪৬ জন এসিসি ধারী এবং ১৩ লাখ চার হাজার প্রুফ অব রেজিস্ট্রেশন (পিওআর) ধারী আফগান রয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে জাতিসংঘের প্রত্যাবর্তন কর্মসূচির আওতায় ১৩ লাখ ৭৭ হাজার আফগান শরণার্থীকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন