ভারতে রাজধানী নয়াদিল্লিতে গতকাল শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন, যা আজ শেষ হবে। সূচি অনুযায়ী আজ মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন বিশ্বনেতারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বনেতারা এখন রাজঘাটে রয়েছেন। তারা সেখানে ভারত জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময়ে বিশ্বনেতারা সেখানে জলাবায়ু পরিবর্তনসংশ্লিষ্ট এক আলোচনায় অংশ নেবেন।
সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের স্টেট কাউন্সিলের 'প্রিমিয়ার' লি কুয়াং, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সাক ইয়োল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, সৌদি বাদশা মোহাম্মদ বিন সালমান, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ ও নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু। আর সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হিসেবে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ এ সম্মেলন সমাপ্ত হবে। এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও জি-২০-এর শার্পা আমিতাভ কান্ত স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
সম্মেলনে এখন পর্যন্ত অলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
১.সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আলোচনার শুরুতে থাকতে পারে বৈশ্বিক আস্থার সংকট সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারত সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর নিয়ে নতুন কোনো জোটের ঘোষণাও আসতে পারে।
২. সম্মেলনে জি-২০ সদস্য রাষ্ট্রগুলো দিল্লি ডিক্লিয়ারেশন অনুমোদন দিয়েছে। শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে এটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
৩. সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সমস্ত রাষ্ট্রকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাসহ আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলিকে সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
৪. সম্মেলনে চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যোগ না দিলেও তারা দিল্লি ডিক্লিয়ারেশনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
৫. সম্মেলনে সব সদস্য দেশ অন্যের ভূখণ্ড দখলের জন্য বলপ্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে তারা ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা না জানানোয় এর সমালোচনা করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, নিষয়টি আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করা যেতো।
৬. জোটটির আশা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষমতা তিনগুণ হবে। এজন্য তারা কয়লা জ্বালানি ব্যবস্থা হ্রাস করবে এবং সমস্ত দূষণকারী জীবাশ্ম জ্বালানি তেকে সরে আসবে।
৭. জোটিটির দাবি তারা বিশ্বের জিডিপির ৮৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব এবং জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমন করছে। এ সময়ে তারা ২০০৯ সালের পিটাসবার্গ প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার কথা পুনব্যক্ত করেন।
৮. সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জোটের স্থায়ী সদস্য হিসেবে অনুমোদন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন