এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রথম শ্রেণির এসি কামরায় বসেছিলেন তিন যাত্রী। ভ্রমণের জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে যে চাদর, কম্বল ও তোয়ালে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোই গোপনে ব্যাগে ভরে নেমে পড়ার চেষ্টা করছিলেন তারা। কিন্তু প্ল্যাটফর্মেই ধরা পড়ে গেলেন। এরপর শুরু হয় টিকিট পরীক্ষক ও রেলকর্মীদের সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা। শেষমেশ ব্যাগ থেকে একে একে বেরিয়ে আসে রেলের সব সম্পত্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি থেকে পুরীগামী পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসে। এক রেলকর্মীর চোখে পড়ে যাত্রীদের চুরির চেষ্টা। তিনি ওড়িয়া ভাষায় বলতে থাকেন, ‘স্যার, দেখুন, এই ব্যাগগুলো থেকে চাদর, কম্বল বেরোচ্ছে। তোয়ালে, বেডশিট—সব মিলিয়ে চার সেট আছে।’ এরপর তিনি যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ৭৮০ টাকা জরিমানা দিন, নয়তো জিনিসগুলো ফেরত দিন।
প্রথমে যাত্রীদের মধ্যে এক যুবক স্বীকার করেন, ভুল হয়েছে। তার দাবি, তার মা ভুল করে জিনিসগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেছেন। তবে রেলকর্মীরা এই যুক্তি মানতে নারাজ। বরং তারা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘আপনারা প্রথম শ্রেণির এসি কামরার যাত্রী। তার উপর মনে হচ্ছে তীর্থযাত্রায় যাচ্ছেন। তবুও কি এমন কাজ করা ঠিক হলো?’ রেলকর্মীরা তখন আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।
তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকলেও শেষপর্যন্ত তিন যাত্রী বাধ্য হয়ে ব্যাগ থেকে রেলের চাদর, কম্বল ও তোয়ালে বের করে দেন। রেলকর্মীরা সেগুলো জব্দ করেন এবং যাত্রীদের সতর্ক করে দেন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে দেখা যায় যাত্রীদের সঙ্গে রেলকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই বলেন, এ ধরনের যাত্রীদের আজীবনের জন্য ট্রেনযাত্রা থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত।
এদিকে ‘রেলওয়ে সেবা’ নামের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন