কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সিরিয়ায় ইরানের সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা ব্যর্থ, গোপন নথি ফাঁস

বাশার আল আসাদ ও ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি : সংগৃহীত
বাশার আল আসাদ ও ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ায় ইরানের বহুল আকাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। দূতাবাস থেকে ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে এমনটাই উঠে এসেছে।

শুক্রবার (০২ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল প্ল্যানের আদলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনের মাধ্যমে দেশটিকে নিজের প্রভাববলয়ে আনার চেষ্টা করেছিল তেহরান। কিন্তু বিদ্রোহীদের হাতে বাশার আল-আসাদের পতনের পর সে পরিকল্পনা ধসে পড়ে।

রয়টার্সের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে লুটপাটের পর সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে ইরানের ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ রয়েছে। বিদ্রোহীরা আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে রাশিয়ায় পালাতে বাধ্য করলে ইরানি কূটনীতিক, ব্যবসায়ী ও প্যারামিলিটারি বাহিনী সিরিয়া ছাড়ে।

প্রকাশিত নথি ও সাক্ষাৎকারে উঠে আসে, প্রায় ৪০টি প্রকল্পে অন্তত ১৭৮ মিলিয়ন ডলারের পাওনা রয়েছে ইরানি কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে একটি ৪১১ মিলিয়ন ইউরোর বিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে লাতাকিয়ায়। এ প্রকল্পটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ইউফ্রেটিস তথা ফোরাত নদীর ওপর একটি রেলসেতু মার্কিন বিমান হামলায় ধ্বংস হলেও পুনর্গঠন হয়নি।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের প্রকৌশলী আব্বাস আকবরির নেতৃত্বে গঠিত ‘সিরিয়া-ইরান অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন সদর দপ্তর’ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত ছিল। কিন্তু যুদ্ধ, দুর্নীতি, নিষেধাজ্ঞা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রকল্পগুলো আটকে যায়।

ইরানি ব্যবসায়ীরা জানান, সিরিয়ায় তাদের বহু পণ্য বন্দরেই আটকে গেছে কিংবা লুট হয়ে গেছে। অনেকেই দাবি করেছেন যে তারা কোনো অর্থই ফেরত পাননি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় ইরানের এই ব্যর্থতা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, কূটনৈতিকভাবে এক বড় ধাক্কা। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্ক ও ইসরায়েল এখন শূন্যতা পূরণে উদ্যোগী হয়েছে। এদিকে নতুন সিরীয় সরকারকে এখন জমে থাকা অসমাপ্ত প্রকল্প ও ঋণের চাপ সামলাতে হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামে মামলা

যে কথা বলতে গিয়ে আল্লাহ ৭ বার শপথ করেছেন!

জাতিসংঘ প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

গারো পাহাড়ের জঙ্গলে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ

জুলাই যোদ্ধা ও শহীদদের কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

বিশ্বমঞ্চে জামদানিতে মিথিলার চমক

গণতন্ত্র চাইলে ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে : ফখরুল

মঞ্চে মোদিকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন ঐশ্বরিয়া

হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য প্রচারের ব্যাখ্যা দিলেন আরএমপি কমিশনার

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, বিক্রিও চড়া

১০

মুশফিককে প্রশংসায় ভাসিয়ে যা বললেন দুবারের বিশ্বকাপজয়ী পন্টিং

১১

জকসু নির্বাচন / শহীদ সাজিদের কবর জিয়ারত করল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল

১২

জকসু উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি

১৩

ভাঙল শতরানের জুটি, শততম টেস্টে হাসল মুশফিকের ব্যাট

১৪

যে কারণে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে পারবেন না রাকিব-তপু

১৫

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

১৬

দীনেশ চন্দ্র পালের আত্মার চিরশান্তি কামনায় প্রার্থনা সভা

১৭

একটানে জালে উঠল ২০০ মণ ইলিশ

১৮

এত বড় তারকা হয়েও হামজার মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংকার নেই : পাপ্পু

১৯

ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে

২০
X