গাজায় দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে এর মধ্যেও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করছে ইসরায়েল। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি করছে ইসরায়েলের সেনারা। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের তাল আল-হাওয়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত বাড়িঘর দেখতে যাওয়া ফিলিস্তিনিরা এ হামলার শিকার হয়েছেন।
এক ফিলিস্তিনি জানান, তিনি এ পর্যন্ত চারবার নিজের বিধ্বস্ত বাড়িঘর দেখতে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেখানকার অবস্থা জানার জন্য তিনি কেবল যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সম্প্রতিও গুলি ছোড়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাড়িতে ফেরা দরকার। আমরা সেখান থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও কাপড় আনতে যাচ্ছি যাতে করে আমরা নিজেদের শীত থেকে আশ্রয়শিবিরে নিজেদের সুরক্ষা দিতে পারি।
এর আগে বুধবার সকালে যুদ্ধবিরতির মধ্যে দুটি গোলাগুলির খবর জানায় আলজাজিরা। এর মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের একটি নৌকায় গুলি করেছে। এ ছাড়া গাজার দক্ষিণের খান ইয়ানিস উপকূলে ফিলিস্তিনিদের ওপর গোলাগুলির খবর জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজায় দীর্ঘ দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে উপত্যকাটির জন্য নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমার আঘাতে মৃত্যুর চেয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা দ্রুত সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জানান, অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে বোমার আঘাতের চেয়েও রোগাক্রান্ত হয়ে বেশি মৃত্যুর দৃশ্য দেখতে হবে।
ডব্লিউএইচওর এ মুখপাত্র উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় আল-শিফা হাসপাতালের পতনকে একটি ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এমনকি চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা আল-শিফা হাসাপাতলের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের আটকের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন