রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।
পুতিন বলেন, চীন ও ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এই যুদ্ধ বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তারা মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার পাশাপাশি বেশ কয়েকবার শান্তি প্রস্তাবও দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট এসব উদ্যোগকে ‘প্রশংসনীয়’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে কিছু সমঝোতা হয়েছে। পুতিনের আশা, এই সমঝোতা যুদ্ধাবসানের পথে সহায়ক হবে এবং শিগগিরই সংঘাতের ইতি ঘটবে।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং পরবর্তীতে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রক্রিয়া ঘিরে রাশিয়া-ইউক্রেন সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া, যা এখনো অব্যাহত।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার ওপর শত শত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ, তুরস্ক, বেলারুশসহ বিভিন্ন পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করেছে, তবে তাতে সফলতা আসেনি।
তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘এই সংঘাতের মূল কারণ হলো ন্যাটোর সম্প্রসারণ। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে টানতে চাইছে। এতে সফল হলে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোও ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রলোভনে পড়বে। এতে রাশিয়ার নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়বে।’
তিনি স্পষ্ট করে দেন, পশ্চিমা বিশ্ব যদি ন্যাটো সম্প্রসারণ বন্ধ না করে, তবে স্থায়ীভাবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন