আর্জেন্টিনায় দুই তরুণী ও এক কিশোরীকে নির্যাতন ও হত্যা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বুয়েনস আয়ার্সে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিচার দাবি করেন।
নিহতরা হলেন ২০ বছর বয়সী কাজিন মোরেনা ভার্দি ও ব্রেন্ডা ডেল কাস্তিলো এবং ১৫ বছর বয়সী লারা গুতিয়েরেজ। তারা নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর দক্ষিণ বুয়েনস আয়ার্সের এক বাড়ির আঙিনায় কবরস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় তদন্তকারীরা বলছেন, মাদক চক্রের সদস্যরা তাদের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় এবং গ্যাং নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি দিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হত্যার আগে ভুক্তভোগীদের অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এক অভিযুক্তের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। ভিডিওতে এক গ্যাং লিডারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কাছ থেকে মাদক চুরি করলে এরকম পরিণতিই হবে।’
বিক্ষোভকারীরা নিহত তিনজনের ছবি ও নাম লেখা ব্যানার হাতে নিয়ে সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করে। অনেকেই ঢাকঢোল বাজিয়ে সরকারের ‘নিষ্ক্রিয়তার’ বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ তার ছবি পুড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
ব্রেন্ডার বাবা লিওনেল ডেল কাস্তিলো সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মেয়েকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাতে তার লাশ চিনতেও পারিনি।”
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত তিন পুরুষ ও দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে হত্যার মূল হোতা বলে ধারণা করা এক ২০ বছর বয়সী পেরুভিয়ান এখনো পলাতক।
তথ্যসূত্র : এএফপি, রয়টার্স, আল জাজিরা
মন্তব্য করুন