চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারাবন্দিদের সঙ্গে ইশারা-ইঙ্গিতে ‘জরুরি আলাপ’

দূর থেকে হ্যান্ডমাইকে কারাবন্দির সঙ্গে আলাপ করছেন স্বজনরা। ছবি : কালবেলা
দূর থেকে হ্যান্ডমাইকে কারাবন্দির সঙ্গে আলাপ করছেন স্বজনরা। ছবি : কালবেলা

কারাবন্দিদের সঙ্গে স্বজনরা ইশারা-ইঙ্গিতে আলাপ সারেন। কারাগারের জানালা দিয়ে চিৎকার করে স্বজনদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন বন্দিরা। গলা ফাটিয়ে ও হাতের ইশারায় চেষ্টা করেন কথা বুঝতে। অথচ দোকানের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা ‘এখানে দাঁড়ানো নিষেধ।’

কে মানবে সে কথা। কারাগারে রয়েছে যে প্রিয়জন। তাই প্রিয়জনকে দেখতে সেখানে ভিড় করেন কারাবন্দিদের স্বজনরা। কারাগারের জানালায় দাঁড়িয়ে সুখ-দুঃখের কথা জানাতে না পারলেও স্বজনের সঙ্গে ইশারা ইঙ্গিতে, আবার কখনো চিৎকার করে সারেন জরুরি আলাপ।

এমন দৃশ্য হরহামেশাই মিলেছে চট্টগ্রাম নগরীর আমানত শাহ (রহ.) মাজার শরিফ সংলগ্ন জেল রোডে।

কারাবন্দির সঙ্গে আলাপের চেষ্টা। ছবি : কালবেলা

কারাবন্দিদের স্বজনের উৎপাতে প্রতিদিন বিরক্ত হন আশপাশের ব্যবসায়ীরা। সকাল-বিকেল তাদের জটলায় ক্রেতা প্রবেশ করতে পারে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

জেল রোডের মদিনা স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. রহমান বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত দিনভর চিৎকার শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। দোকানের সামনে লাগানো সাইনবোর্ডও কাজে দিচ্ছে না।

এক কয়েদির মা সেলিনা আক্তার বলেন, ফোন কলে তথ্য দেওয়ার বিনিময়ে স্বজনদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল একটি চক্র। এখন সাবধান হয়ে গেছি। কষ্ট করে ছেলেকে দেখতে কাট্টলী থেকে এখানে আসছি।

এক কারাবন্দির বাবা বলেন, কারাগারে মাসে একবারের বেশি দেখা করতে দেয় না। এখানে কষ্ট হলেও একটু দেখা যায় ছেলেকে। চিৎকার বা ইশারায় হলেও কথা বলা যায়।

জেলখানার পাঁচিলে ঝুলে বন্দির সঙ্গে আলাপের চেষ্টা। ছবি : কালবেলা

কারাসূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দিদের জন্য বহুতল ভবন আছে ১৫টি। এরমধ্যে কারাগারের পাশে জেল রোড ঘেঁষে রয়েছে হালদা ও যমুনা ভবন। যমুনা ভবনের ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম তলার ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড এবং হালদা ভবনের ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম তলার ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সড়কের লোকজন দেখা যায়। তাই বন্দি, কয়েদি ও হাজতিদের লোভনীয় এই ৮টি ওয়ার্ড। এখন এসব ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৮০ থেকে ১০০ জন করে বন্দি বাস করে। চট্টগ্রাম নগরের আমানত শাহ (রহ.) মাজার থেকে খাতুনগঞ্জের দিকে চলে গেছে জেল রোড সড়ক। কারাগারের ১৮ মিটার উঁচু প্যারামিটার ওয়ালের কারণে যমুনা ও হালদা ভবনটির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বন্দি থাকা আসামিদের জেল রোড থেকে দেখা যায় না।

তবে কারাকর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দি ভবনগুলো বহুতল। তাই জানালা দিয়ে সহজেই সড়কে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে তা দেখা যায়। চিৎকার করে কথা বললে শোনাও যায়। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। বাতাস চলাচল ঠিক রাখতে ওয়ার্ডগুলোর জানালাও রাখা হয় খোলা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোংলা বন্দরের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন

বরিশালে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ মঙ্গলবার

টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় আরও এক মুসল্লির মৃত্যু

দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি : বাবুল

পরবর্তী সরকারের প্রতি আসিফ নজরুলের আহ্বান

পাসপোর্ট অফিস থেকে রোহিঙ্গা যুবক আটক

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়ার সুস্থতা প্রয়োজন : মান্নান

এভারকেয়ারে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশের ব্যারিকেড

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

খালেদা জিয়া কাঁদলে বাংলাদেশ কাঁদে : আমান

১০

ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা

১১

গভীর রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন মির্জা ফখরুল

১২

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ কৃষি সহযোগিতায় নতুন অঙ্গীকার

১৩

সরকার কড়াইলের বাসিন্দাদের নাগরিক অধিকারের তোয়াক্কা করছে না : সাকি

১৪

কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

১৫

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তথ্য দিলেন সালাহউদ্দিন

১৬

পরিবারকল্যাণ কর্মীদের ১০ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা

১৭

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও সদকায়ে জারিয়া

১৮

শেবাচিম হাসপাতালে চালু হলো মৃগী রোগীদের ইইজি পরীক্ষা

১৯

রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যেসব সুবিধা পান

২০
X