কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার ছয় আসামিসহ ৮ কিশোর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে তারা রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তারা। জেলগেটেই পরিবারের সদস্যরা তাদের গ্রহণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত বনিক।
তিনি বলেন, মুক্তির আদেশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারাগারে আসলে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রাত আটটার দিকে জামিন শুনানি করেন লিগ্যাল এইড আইনজীবী শামীম আল মামুন। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন রংপুর মেট্রোপলিটন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এফ এম আহসানুল হক রানা।
আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, সরকারি উদ্যোগে এই শুনানি করা হয়। বিশেষ আদালত শুক্রবার রাত আটটার দিকে শুনানি শেষে শিক্ষার্থী বিবেচনায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
রংপুর সিমএমএম আদালতের জিআরও এসআই হাফিজ বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে রাতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, জামিন হওয়া আট শিক্ষার্থীর মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, মুহিন, আল মারজান, পাভেল মিয়া, আমির হামজা ওরফে আমির, মো. সৌরভ মিয়াকে তাজহাট থানা ভাঙচুর ও আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি করা হয়।
বাকিরা হলেন, তৌফিক ওমর ধ্রুব, নিয়াজ আহমেদ রকি। তারা দুজন নাশকতা মামলার আসামি।
এর মধ্যে আমির হামজা ও তৌফিক ওমর ধ্রুব এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পাভেল মিয়া এসএসসি পাস।
দিলরুবা খানম নামে এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে পাভেল। সে দর্শনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে সিটি কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য বের হয় ২৬ তারিখে বের হয়। কিন্তু মডার্ন মোড় থেকে তাকে ধরছে। আমি জানি সে নিরপরাধ। আমি তার সব মামলা থেকে অব্যাহতি চাই।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত আদালত) শুব্রত ব্যানার্জি বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পারি তারা শিশু-কিশোর। পরে তাদের পক্ষে আদালতে আবেদন করা হলে শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়। কোনো শিশু-কিশোর আটক বা গ্রেপ্তার থাকলে তাদের জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম বুলেট বলেন, ওরা জামিনে মুক্তি পেলেও মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, তাদের এই মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক।
মন্তব্য করুন