নোয়াখালী ব্যুরো
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

নোয়াখালীতে সেই নারীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার স্বামী

নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন তার স্বামী। ছবি : সংগৃহীত
নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন তার স্বামী। ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক নারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তোলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এটিকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে উল্লেখ করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঘটনাটি সত্য। তবে সেটা সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ছিল না। ওই নারীকে অপহরণের চেষ্টা করেছিলেন তার স্বামী। তবে তিনি তা পারেননি। এমনটি জানিয়েছেন ওই নারীর বাবা এবং গ্রামবাসী।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট)। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক জন ব্যক্তি জোর করে রাস্তায় থামানো একটি মাইক্রোবাসে এক নারীকে ওঠানোর চেষ্টা করছেন।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দাম্পত্য বিরোধের জেরে স্বামীর ঘর থেকে বাবার বাড়িতে চলে এসেছিলেন ওই নারী। তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তার স্বামীসহ কয়েকজন ব্যক্তি। তখন ওই নারীর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে আসেন। তারা মাইক্রোবাসটি ভাঙচুর করেন।

এ সময় ওই নারীর স্বামী প্রসনজিৎসহ তিনজনকে আটক করেন স্থানীয়রা। আটক ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান গ্রামবাসী।

অপহরণের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী নারীর বাবা জানান, তার মেয়ের প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের স্বামী তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তিনি ৩ লাখ টাকা যৌতুক দিলেও তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। দুই বছর আগে ওই নারী স্বামীর ঘর থেকে চলে আসেন। এরপর এক সালিশে দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বিচ্ছেদ কার্যকরের আগে ওই নারীকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা ছিল বলে জানান তার বাবা।

তিনি বলেন, টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানোর পর আমার মেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

তিনি জানান, মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে দেড় মাস আগেও একবার স্বামীসহ কয়েকজন আদালত চত্বর থেকে তার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করেছিলেন। তখন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে তার মেয়ের রক্ষা হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুটি মাইক্রোবাসে করে ১৭-১৮ জনের একটি দল তার বাড়িতে হানা দিয়ে মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করেন।

স্থানীয় ইউনিয়নের পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি একটি দাম্পত্য কলহকে ঘিরে সংঘটিত ঘটনা। এলাকার সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে অপহরণের চেষ্টাকারীদের প্রতিহত করেছেন। এ সময় তিনজনকে আটক করা সম্ভব হলেও বাকিরা পালিয়ে গেছেন।

সেনবাগ থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তারা (পুলিশ সদস্য) দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার কারণে সেখানে কেউ যাননি। শুনেছি আটক ব্যক্তিরা সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। তারা সেনবাগের ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারত সমস্যায় পড়লেই পাকিস্তানের ঘাড়ে দোষ চাপায়: ইসহাক ডার

বাবার নামে ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে কী বললেন আসিফ মাহমুদ

ভারতের পদক্ষেপে ‘পাকিস্তানও উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত’

অস্ত্রের মুখে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান, অতঃপর...

‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস 

করতোয়ার পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা

কাশ্মীরে হামলা / এটি কি ভারতের ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ নাটক?

কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

কৃষকের আধাপাকা ধান কেটে নিলেন যুবদল নেতা

১০

পোপের মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক বাংলাদেশে

১১

সিন্ধু চুক্তি স্থগিত / জরুরি বৈঠকে বসছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা কমিটি

১২

ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া অসুস্থ শিশুর দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা

১৩

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৪

২৪ এপ্রিল : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

২৪ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

কাশ্মীর নিয়ে টানটান উত্তেজনা, যুদ্ধের পথে ভারত ও পাকিস্তান?

১৭

নির্বাচন শুধু প্রলম্বিত নয়, বানচাল করতেও যড়যন্ত্র চলছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

১৮

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করল মহিলা জামায়াত

১৯

বাঙলা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির নেতৃত্বে সাদী-জামিল

২০
X