কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

স্বাস্থ্যের তোয়াক্কা না করে দুধ সংগ্রহ বাথান মালিকদের

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুধ বিক্রি। ছবি : কালবেলা
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুধ বিক্রি। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনার চরে গরু-মহিষের বাথানগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল দুধ বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার মানিকপোটল চরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মহিষের দুধ সংগ্রহ করে, তা বিক্রি করতে দেখা যায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চরের ঘজা বালির ভেতর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মহিষের দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। দুধ সংগ্রহ করার পর যে পাত্রে রাখা হচ্ছে, তা ময়লায় ভরা এবং দুধ ভরা পাত্রের ভেতর অসংখ্য মাছি ভাসতে দেখা যায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

চরে ঘাস কাটতে আসা কৃষক আবদুল করিম জানান, এখানে ঘাস কাটতে এসে দেখি তারা দুধ দোয়াইয়া দুধের ভিতর কী যেন ছোট বোতল দিয়ে ঢেলে দিল, মনে হলো দুধে কোনো ওষুধ দিল। আসলে এই নোংরা ময়লাযুক্ত দুধ খাওয়া ঠিক না।

বাথান দেখতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, এসব পরিবেশের দুধ খাওয়া ঠিক না, দুধের ওপর মাছি এবং বালি ভরা।

বাথান পরিচালনাকারী বিশুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাজিপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০টি বাথান রয়েছে। প্রতিটি বাথানে ২০ থেকে ২৫টি গরু ও দেড় থেকে ২শ মহিষ আছে। বাথানগুলো শ্রাবণ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত পরিচালনা হয়ে থাকে। এ সময়ের মধ্যে গরু- মহিষের খাদ্যের জন্য ঘাস এক থেকে দেড় লাখ টাকায় স্থানীয় জমির মালিকদের থেকে চর ইজারা নেওয়া হয়। আয় হিসেবে প্রতিটি বাথান থেকে প্রতিদিন ১৭০ থেকে ১৮০ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়। যা ৮০ টাকা লিটার দরে বিক্রয় করা হয়। তবে সংগৃহীত দুধের মান এবং স্বাদ তেমন একটা থাকে না। আগের দিন বিকেলে সংগ্রহ করা দুধ পরের দিনের দুধের সঙ্গে মেশানোর করা কথা স্বীকার করলেও, দুধে ক্ষতিকর ফরমালিন ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাথান শ্রমিক বলেন, দুধ যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য দুধে ফরমালিন দেওয়া হয়। এজন্য বিকেলের দুধ সকালে বিক্রি করলেও সমস্যা হয় না।

এ বিষয়ে বাথান মালিক বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটার শ্রী প্রীতুষ কালবেলাকে বলেন, আমরা দুধে কোনো মেডিসিন ব্যবহার করি না এবং আমরা দুধ যথা সময় বিক্রি করি।

এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রোনটু মিয়া কালবেলাকে জানান, সংগৃহীত দুধ কোনো অবস্থাতেই ৬ ঘণ্টার বেশি রাখা নিরাপদ নয়। ৬ ঘণ্টা পর দুধ এমনিতেই নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, অস্বাস্থ্যকর ও যদি কোনো মেডিসিন দুধে ব্যবহার করা হয়, তবে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুয়েটে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের তিন দফা বাস্তবায়নের দাবি

শেখ হাসিনা পরিবারের বাড়ি-জমি জব্দ

সমাবেশের ঘোষণা শ্রমিক দলের

সহস্রাধিক প্রকৌশলী বেকার হওয়ার আশঙ্কা এআইওবির

পাকিস্তানি ডন পত্রিকার সম্পাদকীয় / ভিন্নমতের মুখ বন্ধে ভারতের তথ্য যুদ্ধ

‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে’

মুক্তবাণিজ্য এলাকা স্থাপনে জাতীয় কমিটি গঠন

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১০

বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১০

৮ জেলায় বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

১১

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে : নাহিদ 

১২

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন / ভারতকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে কাশ্মীর হামলায় পাকিস্তান জড়িত

১৩

অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসলামী আন্দোলনের আমিরের হুঁশিয়ারি

১৪

ভারতে কোচিং সেন্টারে বোমা হামলা

১৫

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় আটক ১

১৬

১৪ পুলিশ সুপারের বদলি

১৭

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

১৮

এনবিআরে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক

১৯

নাগরিকদের বড় সুখবর দিল সরকার

২০
X