ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দাম বাড়িয়েও পাওয়া গেল না ধান

ধান সংগ্রহ কার্যক্রম। ছবি : সংগৃহীত
ধান সংগ্রহ কার্যক্রম। ছবি : সংগৃহীত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সরকারিভাবে আমন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ২৫৮ টন। সরকারিভাবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান। সরকার গত আমন মৌসুমে প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করেছিল ৩০ টাকা। কিন্তু ধান পায়নি গুদামগুলো।

এবার তিন টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ টাকা। এবারও ধান পায়নি উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদাম দুটি। সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার খাদ্যগুদামে এক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে।

এসময় ৩ হাজার ২৫৮ দশমিক ৩৩০ টন সেদ্ধ চালের ধান ও ৭৯৫ টন আতপ চালের ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেদ্ধ ও আতপ চালের ধান সংগ্রহের জন্য ৮৯টি হাসকিং মিল ও ১০টি অটোরাইস মিলের মধ্যে ৪৯টি হাসকিং মিল এবং ১০টি অটোরাইস মিল চুক্তিবদ্ধ হয় খাদ্য বিভাগের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সেদ্ধ ও আতপ চালের ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমন সংগ্রহের সরকারিভাবে ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, স্থানীয় বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে ধান বেচাকেনা হয়েছে। এ ছাড়াও খাদ্য উপজেলা সদরে হওয়ায় ধান পরিবহনে কৃষকের ব্যয় বাড়ে। শ্রম ও সময়ও বেশি লাগে। এজন্য কৃষক বাড়ি থেকে আশপাশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করেছেন। এতে পরিবহন ব্যয়, শ্রম ও সময় লাগছে। এসব কারণে কৃষক খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করতে আগ্রহী হননি। তবে চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকরা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেছেন।

উপজেলার উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক মহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাদ্য গুদাম অনেক দূরে। এ ছাড়া ধান বিক্রি করতে প্রচণ্ড ঝামেলা হয়। পরিবহন খরচ আছে। সময়ও বেশি লাগে। ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে হয়। বাড়ি থেকে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কোনো খরচও নেই। সময়ও কম লাগে। এজন্য সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে তার আগ্রহ নেই।

ফুলবাড়ী উপজেলার নলপুকুর এলাকার মেসার্স ফাইজুল হাসকিং মিলের স্বত্বাধিকারী মো. ফাইজুল ইসলাম বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে ৫০ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এরপরও প্রথম দিকে লোকসান দিয়ে কিছু চাল খাদ্য বিভাগে সরবরাহ করছেন মিলাররা। এতে আর্থিকভাবে লোকসান হয়েছে তাদের।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সোহেল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সেদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহ করা গেলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র এক টন, যা লক্ষ্যমাত্রার ০ দশমিক ১ শতাংশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুদ্ধ বন্ধে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা

যমুনা সেতুতে কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষ

১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয় দুবার সমাধান হয়েছে, দাবি ইসহাক দারের

ক্রিকেটকে ‘গুডবাই’ বললেন একশর বেশি টেস্ট খেলা তারকা ক্রিকেটার

শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চালকদের বিশ্রামাগার নিজেই বিশ্রামে

সপ্তাহে দুদিন ছুটিসহ রূপায়ণ গ্রুপে চাকরির সুযোগ

পুরো শরীর ‘প্লাস্টিকের তৈরি’ বলায় খেপে গেলেন মৌনি

ইনডোর গার্ডেনিং শুরু করতে বেছে নিন এই ৭ গাছ

বরখাস্ত এসআইকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ছেলেদের কাছে ৪৯ রানে ধরাশায়ী হয়ে অলআউট মেয়েরা

১০

চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

১১

নতুন মাইলফলক / এমআইই পাথওয়েজের প্রথম এনসিইউকে গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি উদযাপন

১২

বলিউড ছেড়ে দক্ষিণে দিব্যা দত্ত

১৩

প্রোটিয়া টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন মহারাজ-মিলার

১৪

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

১৫

স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, জামিন দেওয়ায় বাদীর ক্ষোভ

১৬

রাশিয়ার পারমাণবিক প্লান্টে আগুন

১৭

এশিয়া কাপের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা করল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

১৮

মেডিকেলে ‘আনফিট’ রিপোর্টে ভেঙে গেলে নবদম্পতির সংসার

১৯

যুদ্ধ সক্ষমতা ও বিশেষ প্রযুক্তি দেখাল উত্তর কোরিয়া

২০
X