মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৫, ০৯:৪০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রাঙামাটিতে ভাঙা হচ্ছে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য

রাঙামাটি উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে । ছবি : কালবেলা
রাঙামাটি উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে । ছবি : কালবেলা

রাঙামাটিতে ভেঙে ফেলা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল থেকে রাঙামাটি জেলা শহরের সার্ভার স্টেশন এলাকায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি ভাঙতে শুরু করে ‘রাঙামাটির ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’।

এদিন বিকেল ৩টায় ভেদভেদী বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সার্ভার স্টেশনের সামনে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে অবস্থান নেয় একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে বিকেল ৫টা থেকে ভাস্কর্য ভাঙা শুরু হয়। প্রথম দিকে লোহার বড় হাতুড়ি দিয়ে ভাঙলেও পরে যোগ করা হয়েছে ড্রিল মেশিন।

এর আগে, গত বুধবার (১৪ মে) দুপুরে রাঙামাটি জেলা শহরে ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান করে ভাস্কর্য ভাঙার আলটিমেটাম দেয় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা’। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভাস্কর্য ভাঙতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের আলটিমেটাম দেয়া হয়। ৪৮ ঘণ্টা পর ভাস্কর্য ভাঙার কর্মসূচি ঘোষণা করে। মূলত ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ভাঙা শুরু করে।

‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা, রাঙামাটির’ সংগঠক মো. ওয়াহিদুজ্জামান রোমান জানান, আমরা আশা করছি আজকে (শুক্রবার) রাতের মধ্যে ভাঙার কাজ শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে ভাস্কর্যটি দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। জানতে চাইলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার জানান, ভাস্কর্যটি ভাঙার খবর পেয়েছি। তবে কারা ভাঙছে সেটি জানি না।

এ ব্যাপারে জানতে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ছুটিতে আছি। এই বিষয়ে কিছু জানি না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের পর ২০১২ সালে রাঙামাটি জেলা শহরের ভেদভেদী সার্ভার এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। ২০১২ সাল থেকে প্রায় ২০২০ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে ভাস্কর্যটির নির্মাণ করা হলেও এখনো কিছু কাজ অসম্পন্ন রয়ে গেছে। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এই ভাস্কর্য নির্মাণে নকশাগত ত্রুটি ও অনিয়মের অভিযোগও উঠে।

ভাস্কর্য নির্মাণকাজে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর স্বামী আনোয়ার হোসেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

নিষিদ্ধ হওয়া ভিডিও নির্মাতাদের সুখবর দিল ইউটিউব

১০

জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জামায়াতের অংশগ্রহণ

১১

‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াও আমাদের দিনে দাঁড়াতে পারবে না’ 

১২

রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি

১৩

ঢাবি সাদা দলের বিবৃতি / এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত

১৪

৪৮ জেলার ৪৩৫ স্পটে হত্যাকাণ্ড ঘটায় পুলিশ-যুবলীগ : তাজুল ইসলাম

১৫

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার

১৬

ইয়ামালের জন্য আল হিলালের ৫২৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব!

১৭

অতিরিক্ত সিম স্বেচ্ছায় বাতিল না করলে যা করবে বিটিআরসি

১৮

‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ হামজাদের প্রতিপক্ষ

১৯

জনগণের আমানত রক্ষায় জমিয়ত সর্বদা সচেষ্ট থাকবে : মোহাম্মদ আলী

২০
X