খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় নওগাঁ শহরের কালীতলা শ্রী শ্রী বুড়া কালীমাতার পূজামণ্ডপ প্রাঙ্গণে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সব ধর্মের মূল বাণী মানুষের কল্যাণ। আদিকাল থেকেই এ দেশে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সব ধর্মের মানুষকে একসূত্রে গাঁথার চেষ্টা করে গেছেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনই ছিল তার উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও সম্প্রীতির বন্ধনে দেশকে বেঁধে রেখেছেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভয় পেলে চলবে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে।
নওগাঁ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায় প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি রনজিত সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ কুমার সরকার ও পিযুস কান্তি সরকারসহ আরও অনেকে।
পরে নওগাঁ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে জন্মাষ্টমী-২০২৩ উপলক্ষে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। খাদ্যমন্ত্রী সেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।
শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কালিতলা মন্দির প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা, সেবাশ্রম সংঘ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বিভিন্ন মন্দিরের নেতারাসহ হাজারো নারী-পুরুষ ভক্ত অংশ নেন। এর আগে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ভক্তরা কালিতলা মন্দির প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হন। শোভযাত্রা ছাড়াও মন্দিরে পূজা-পার্বণ, শ্রীকৃষ্ণ পূজা, কীর্তন, নামযজ্ঞ, ধর্মীয় আলোচনাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিকে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানমালা উপলক্ষে এদিন শহরজুড়ে জেলা পুলিশের উদ্যোগে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
মন্তব্য করুন