চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট নিরসন ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মনোরেল প্রকল্পের ফিল্ড সার্ভে শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী এবং আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের প্রধান প্রতিনিধি কাউসার আলম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাবে পরিণত করতে হলে যানজট ও পরিবহন সংকটের সমাধান করতে হবে। এ জন্য মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান। ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজ থেকে ফিল্ড সার্ভে শুরু হলো। এরপর পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর মূল কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত তৈয়বকে প্রকল্প সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিডাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম নগরীতে দেশের প্রথম মনোরেল স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে বন্দরনগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থা। যানজট কমে আসবে, বাড়বে যাতায়াতে গতি ও পরিবেশবান্ধব আধুনিকতার ছোঁয়া। শুধু তাই নয় চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে গড়ে তোলার পথ তৈরি করবে এ মনোরেল।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই মনোরেল চালু হতে পারে। গত ০১ জুন মনোরেল বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবং বিদেশি দুটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
মন্তব্য করুন