লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করল যুবদল

বাঁশের সাঁকো উদ্বোধন করেন অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
বাঁশের সাঁকো উদ্বোধন করেন অতিথিরা। ছবি : কালবেলা

লালমনিরহাট সদরের হারাটি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে টাপু সতী নদীর উপর স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে লালমনিরহাট জেলা যুবদল। সাঁকো নির্মাণে দুই পাড়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে বাঁশের সাঁকো উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান, সদস্য সচিব হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হারাটি ইউনিয়নের চোঙাগাড়া টাপুরপাড় এবং মালতাপাড়া গ্রামের মধ্যদিয়ে বয়ে গেছে সতী নদী। নদীটি ওই দুই গ্রামকে বিভক্ত করে রেখেছে। নদীর দক্ষিণ পাশে আরাজি টাপুরপাড় গ্রামে দুই শতাধিক পরিবার এবং নদীর উত্তর পাশে মালতাপাড়া গ্রামে তিন শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছেন।

আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের সতী নদীর স্বর্ণামতি ব্রিজ থেকে কেশোর ঘাট ব্রিজ পর্যন্ত নদীর প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় কোনো ব্রিজ নেই। ফলে যুগের পর যুগ এলাকার মানুষজন বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে নদীতে খুঁটি গেড়ে বাঁশ বেঁধে তার ওপর দিয়ে চলাচল করে আসছে।

প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতো গ্রামের সব বয়সী শত শত মানুষ। গেলো বর্ষায় নদী পার হতে গিয়ে বাঁশ ভেঙে কোলে থাকা দুধের শিশুসহ নদীতে পড়ে যায় এক মা। পরে গ্রামবাসী মাকে উদ্ধার করতে পারলেও মারা যায় শিশুটি। নদী পার হতে ভয় পেতেন সবাই। নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য নদী পারাপার ছিল আতঙ্কের নাম।

সেখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা বহুবার সরকারি দপ্তরে আবেদন ও যোগাযোগ করলেও কোনো সুফল মেলেনি। অবশেষে স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা নিজ অর্থায়ন এবং শ্রম দিয়ে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ ফুট প্রস্থের একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন।

টাপুর পার গ্রামের মোখলেছুর রহমান বলেন, আগে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতাম। নদী পার হতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে কি না। এখন সেই ভয় কেটে গেছে। যুবদলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।

একই এলাকার বয়োবৃদ্ধ আব্দুল হামিদ বলেন, একটি ব্রিজের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগে রয়েছি। তবে এখন মজবুত একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করায় নদী পারাপারে ভয় ও ভোগান্তি দূর হলো। বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করায় যুবদলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, যুবদল সবসময় জনগণের পাশে থাকে। উন্নয়ন মানে শুধু সরকারের কাজ নয়, মানুষের সেবায় এগিয়ে আসাও দেশপ্রেমের অংশ। এ সময় তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। দল ক্ষমতায় এলে এ এলাকায় সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিলম্বের পর প্রথম বিভাগ ক্রিকেট শুরুর তারিখ জানাল বিসিবি

গাড়ি চাপায় অন্তঃসত্ত্বা কুকুরের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

সাংবাদিককে হাতুড়ি পেটায় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার

সিরিজের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েও জয় পেল না বাংলাদেশ

আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

গৃহকর্মী আয়েশার স্বামী দিলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য

মেসির আগমন ঘিরে উন্মাদনায় পুরো কলকাতা শহর

ব্যস্ততার মাঝেও মানবিকতার আলো ছড়াচ্ছেন চট্টগ্রামের ডিসি

গায়ের রং কালো হওয়ায় ট্রলের শিকার নবদম্পতি

৩৫ ফুট গভীর নলকূপের পাইপে আটকা দুই বছরের শিশু

১০

রংপুর-১ আসনে এনসিপির প্রার্থী জাপার ছাত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি

১১

যে ৩ সময়ে ঘুমাতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে 

১২

৬ নেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বদলাল বিএনপি

১৩

স্বাধীনতার সুফল আমরা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি : মামুনুল হক

১৪

চাপে থাকা আলোনসোকে অদ্ভুত পরামর্শ দিলেন গার্দিওলা

১৫

হলিউডের নতুন জুটি

১৬

শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক রিমান্ডে

১৭

হাতিয়ার মানুষ না চাইলে নির্বাচনে অংশ নেব না : হান্নান মাসউদ 

১৮

চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে স্কপের মিছিল

১৯

আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগ কার্যকর যখন থেকে

২০
X