কালবেলা প্রতিবেদক, পাবনা
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টিসিবির চালে নয় ছয়ের অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে

পাবনা জেলার মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা
পাবনা জেলার মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা

পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর ছেলে মিলন হোসাইনের বিরুদ্ধে। সুবিধাভোগীরা বলছেন, বস্তাপ্রতি চার থেকে ছয় কেজি করে চাল ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করেও কোনো সুফল মিলছে না। বাধ্য হয়ে যা দিচ্ছে তাই নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের শ্রীকোল লোহাগড়া ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ৩০ কেজির বস্তায় ২৪ থেকে ২৬ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাভোগীদের কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। তারা বাধ্য হয়ে ৪৫০ টাকা দিয়ে ৩০ কেজির বস্তায় কম চাল নিয়ে যাচ্ছেন।

কোবাদ আলী, আমেনা খাতুন, চায়না খাতুনসহ কয়েকজন কার্ডধারী বলেন, প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল থাকে। এক বস্তা চালের দাম ৪৫০ টাকা। আমাদের কাছ থেকে ৩০ কেজির দাম ৪৫০ টাকাই নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বস্তাপ্রতি ৪ থেকে ৫ কেজি করে ওজনে কম দিচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা কেউ শুনছে না। বাধ্য হয়ে কম চাল নিতে হচ্ছে।

মোস্তফা হোসেন বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ। এই ৩০ কেজি চালে পরিবার নিয়ে একমাস কোনোমতো চলি। এবার শ্রীকোল ডিলারের কাছ থেকে চাল আনছি ২৬ কেজি হয়েছে। অনেকের ২৪ কেজিও হয়েছে। চাল সময়মতো না দিয়ে হয়রানি করা হয়।

জানা গেছে, সাদুল্লাপুর ৩টি নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে ১৪৮৫ জন কার্ডধারী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকার আওতায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ডিলার মিলন হোসাইন ৪৯৬ জনের কার্ড, আব্দুল খালেক খান ৪৯৭ জনের কার্ড, রইচ উদ্দিন খান ৪৯৭টি কার্ডের চাল বিতরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ডিলাররা সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ করে না। দু-একদিনের মধ্যে কার্ডধারী না আসলে তাদের চাল বাইরে বিক্রি করে দেয়। কার্ডধারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। ৪ থেকে ৬ কেজি করে চাল কম দিচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করেও এরা প্রভাবশালী হওয়াতে অনিয়ম করেই যাচ্ছে।

সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর ছেলে অভিযুক্ত চালের ডিলার মিলন হোসাইনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

পাবনা সদর উপজেলার খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লতিফুর রহমান বলেন, ৩০ কেজি চালের এক কেজিও কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কাজ করার প্রশ্রয় দেওয়ায় ঠিক না। ৩০ কেজি চাল বুঝে নিতে হবে। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিদা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি আপনার থেকে জানতে পারলাম। চাল ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। খোঁজখবর নিয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনার জেলা প্রশাসক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যাট-বলে সাকিবকে শরীফুলের টেক্কা

দেশকে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই এমন সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী

রাজবাড়ীতে ভাড়ায়চালিত বাইকারের বিরুদ্ধে যাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

সরবরাহ সচল হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে ব্রাহ্মণপাড়ার সবজি বাজারে

আজ কোন এলাকায় কত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

রিয়ালের জার্সিতে কবে মাঠে নামছেন এমবাপ্পে?

স্বেচ্ছায় কারাগারে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা

অলিম্পিকে পদকের লড়াই হবে যে ইভেন্টগুলোতে (২৭ জুলাই)

দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে নতুন ছক সৌদির

রাশিয়ার সাবেক উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

১০

ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে?

১১

মানামার বাতাসে দূষণ সবচেয়ে বেশি, ঢাকার পরিস্থিতি কী

১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বর্জ্যে দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ

১৩

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

১৪

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ছিল যে দেশগুলো

১৫

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৬

উদ্বোধনীতে অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি উৎফুল্ল বাংলাদেশের কর্তারা

১৭

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১৮

৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

১৯

ভেজানো ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

২০
X