কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক

প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুশঙ্কা!

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, দ্রুতগতিতে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকে আর কাজ হচ্ছে না, ফলে প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এবার সেই সতর্কবার্তারই পুনর্ব্যক্ত করা হলো একটি ভারতীয় গবেষণাপত্রে।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ— সাউথইস্ট এশিয়া’ নামক জার্নালে। এতে বলা হয়েছে, এমনিতেই নতুন ওষুধের অভাব, তার মধ্যে পুরোনো অ্যান্টিবায়োটিকগুলি আর কাজ দিচ্ছে না। ফলে চিকিৎসা খাতে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়েছে।

ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর এএমআর সার্ভেল্যান্স নেটওয়ার্কভুক্ত ২১টি কেন্দ্র থেকে মোট ৬ বছরের তথ্য সংগ্রহ করে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধ যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য পরজীবীর সংক্রমণ কমাতে আর কাজ করে না, সেই পরিস্থিতিকে বলে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’। এতে রোগীর সংক্রমণ আরও বাড়তে থাকে, এমনটি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

‘ইমার্জিং ট্রেন্ডস ইন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ইন ব্লাডস্ট্রিম ইনফেকশনস: মাল্টিসেন্ট্রিক লংগিচুডিনাল স্টাডি ইন ইন্ডিয়া (২০১৭-২০২২)’ শীর্ষক গবেষণাটি করেছেন আইআইটি দিল্লি ও আইসিএমআরের গবেষকরা।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রায় অতিমারি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এএমআর, ফলে সমগ্র বিশ্বই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। রোগীদের রক্তের সংক্রমণে কীভাবে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে গবেষণায়। গবেষণাটির একটাই উদ্দেশ্য, তা হলো- চিকিৎসার কৌশল সন্ধান।

গবেষণাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইিপেনেম ও মেরোপেনেম জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে মাসে মাসে এএমআর বাড়ছে। ক্লেবসিয়েল্লা, ই কোলাই, অ্যাসিনেটোব্যাকটরের মতো ব্যাকটেরিয়ার রক্তে সংক্রমণ ঘটলে, তার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ওই দুটি ওষুধ। ক্লেবসিয়েল্লা ও অ্যাসিনোব্যাকটর ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণে দেখা গেছে, হাসপাতাল থেকে রোগী সংক্রমিত হলে, তাতে এএমআর আরও বেশি হচ্ছে। আবার ই কোলাই এবং ক্লেবসিয়েল্লা, এই দুই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধে ব্যবহৃত ওষুধ সেফালোস্পোরিনস ও ফ্লোরোকুইনোলোনস আর কাজ করছে না।

গবেষণাটিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ৪.৯৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছিল এএমআর-এ। এভাবে চললে ২০৫০ সালে প্রতি বছর অন্তত ১ কোটি মানুষ মারা যাবেন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলো।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এএমআরের কারণে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) ধাক্কা খাবে। যার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে পৌঁছবে।

সূত্র: আনন্দবাজার

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফিফার শান্তি পুরস্কার পেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

বারবার ফোন আনলক করায় অজান্তেই হচ্ছে যে শারীরিক ক্ষতি

৩৫০ মাইল দূরে বদলি, ক্ষোভ প্রকাশ করে যা বললেন শিক্ষক নেতা

সিরিয়াকে সুখবর দিল কানাডা

সীমান্তে এবারও হলো না দুই বাংলার মিলন মেলা

গ্রিভসের অবিশ্বাস্য ডাবল সেঞ্চুরি, ড্র করেও ‘জয়ের স্বাদ’ উইন্ডিজের

মেডিকেল বোর্ড সবুজ সংকেত দিলেই ঢাকায় আসবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ফোন কিনতে বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে ডাকাতি, অতঃপর...

এসিল্যান্ড-সাবরেজিস্ট্রি অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের সময় বাড়ল

১০

ভোট দিতে ১ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন 

১১

‎বালু তোলার ড্রেজার-বাল্কহেড জ্বালিয়ে দিল বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ‎

১২

ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ইউরোপীয় দুই জায়ান্ট, কবে কোন ম্যাচ

১৩

এবার নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারে দগ্ধ ৪ 

১৪

যৌথভাবে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশের অকৃত্রিম বন্ধু হয়েছে ভারত : জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল

১৫

‘গন্তব্যহীন এই যাত্রায় নীরবতাই একমাত্র সঙ্গী’

১৬

বিপিএল: এবার আরও বড় চমক দেখাল নোয়াখালী এক্সপ্রেস

১৭

পৃথিবী কি এত গরম হয়ে যাচ্ছে যে মানুষ থাকতে পারবে না?

১৮

খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে কি না সিদ্ধান্ত রাতে

১৯

রফিককে গুলি করে হত্যার নেপথ্যে যা জানা গেল

২০
X