কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২০১৮ সালে বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলাম : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

২০১৮ সালে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার তারা এ ধরনের আন্দোলন করেছিল। শুধু অন্দোলন না, তারা যে ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছিল, সাধারণ মানুষের ওপর আঘাত করা, কিছু জ্ঞানী-গুণী আছে ঘরের মধ্যে বসে থেকে মিথ্যা অপপ্রচার রেকর্ড করে ছেড়ে দিচ্ছিল। সমস্ত কিছু দেখে আমি খুব বিরক্ত হয়ে যাই। তখন একপর্যায়ে বলি- ঠিক আছে, কোটা বাদ দিয়ে দিলাম।

তিনি বলেন, আমার উদ্দেশ্য ছিল- দেখ, কোটা বাদ দিলে কী অবস্থা হয়। এখন কী অবস্থা হয়েছে তা দেখেন। এর মধ্যে এবার ফরেন সার্ভিসে মাত্র দুজন মেয়ে চান্স পেয়েছে ও পুলিশ সার্ভিসে মাত্র চারজন মেয়ে চান্স পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারা আইন মানবে না, আদালত মানবে না, সংবিধান কী সেটা তারা চেনে না। একটা কাজ করতে গেলে তার যে নীতিমালা, বিধিমালা বা ধারা থাকে বা একটা সরকার কীভাবে চলে এ সম্পর্কে কোনো ধারণাই এদের নেই, কোনো জ্ঞানই নেই।

তিনি বলেন, তারা পড়াশোনা করছে, ভালো নম্বর পাচ্ছে সেটা ঠিক। কিন্তু ভবিষ্যতে এরা তো নেতৃত্ব দেবে, এ ধারণাগুলো তাদের তো দরকার। আমাদের সংবিধান কী বলে সেটা তাদের জানা উচিত। একটা রাষ্ট্র পরিচালনায় কী ধরনের কাজকর্ম চলে সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা আছে? সে ধারণা তো আমরা দেখি না। যেটা আদালতে চলে গেল সেটা আদালত দেখবে। আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। তারা আদালতে যাক, তাদের বিষয়গুলো বলুক। না তারা রাজপথেই সমাধান করবে। বিষয়টা যখন আদালতে চলে গেছে সেখান থেকে আদালত রায় দিয়েছে সেখানে তো আমার কিছু বলার নেই, এটা সংবিধানও বলে না।

আদালতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আদালতে বিষয়টি চলে গেছে আমাদের কিছু করার নেই। সংসদেরও কিছু করার নেই। তারা রাজপথে সমাধান করবে, তারা আন্দোলন করুক। তারা যতক্ষণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে করে যাক। কিন্তু কোনো ধ্বংসাত্মক কিছু করলে, পুলিশকে মারধর করলে, পুলিশের গাড়ি পোড়ালে তখন আইন তার আপন গতিতে চলবে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতি কোটা পাবে না তাহলে কী রাজাকারের নাতি-পুতিরা কোটা পাবে? সেটা আমার প্রশ্ন। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন। মুক্তিযোদ্ধারা খেয়ে না খেয়ে কাদামাটি মাখিয়ে তারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই আজ দেশ স্বাধীন। আজ সবাই বড় বড় পদে আসীন। নইলে তো ওই পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে চলতে হতো।

তিনি বলেন, এখন যারা লাফাচ্ছে তারা মনে হয় পনেরো-বিশ বছর আগের বিষয়টিও জানে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশের অবস্থা কী ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি, আর সেশন জট। কোনো সেমিস্টার সিস্টেম ছিল না। গ্রেডিং পদ্ধতি ছিল না, বহু সাবজেক্ট ছিল না। কারিকুলামে পরিবর্তন আনা, সেমিস্টার সিস্টেম আনা, গ্রেডিং পদ্ধতি আনা- সব কিছুই কিন্তু আওয়ামী লীগ এনে দিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটাবিরোধী আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সরাসরি পরিচালনা করবে ডিএনসিসি

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদ, থানায় মামলা

কুষ্টিয়ায় কাফনের কাপড় জড়িয়ে বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যে জুলকারনাইনের প্রতিক্রিয়া

দুই দশক পর কারামুক্তি, সঙ্গে লাখ টাকা সঞ্চয় দুই নারীর

এবার ইরাকের বিমানবন্দরে রকেট হামলা

মায়ের কোল ফিরে পেল ৬০ হাজারে বিক্রি হওয়া শিশুটি

গুম কমিশনের প্রতিবেদনে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র

ট্রাম্পকে বিদায় করতে আয়োজন করে নামছেন মাস্ক!

এডাস্ট এসডিআই ও সোল গেটওয়ে করপোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

১০

দেশে কোনো জঙ্গি নেই, আছে ছিনতাইকারী : ডিএমপি কমিশনার

১১

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আমরা হতাশ : নুর 

১২

নরসিংদীতে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩ 

১৩

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার তারিখ জানাল পিএসসি

১৪

অঝোরে কাঁদলেন কিম

১৫

ইসরায়েলের মৃত্যু সন্নিকটে : ইরানি জেনারেল

১৬

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে কী আলোচনা হলো, জানালেন সিইসি

১৭

মৌলভীবাজারে প্রিজন্স ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু, কারাগারের প্রাচীরে ছড়িয়েছে উচ্ছ্বাস

১৮

টাকার প্রশ্নে ইলন মাস্ককেও ছাড়লেন না ট্রাম্প

১৯

নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

২০
X