

বাংলাদেশে ইসলামিক ফিন্যান্স শিল্পের ভিত্তি সুদৃঢ় করা ও এই খাতকে দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘বাংলাদেশ ইসলামিক ফিন্যান্স সামিট-২০২৫’। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সামিটটি অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর শেরাটন ঢাকার ক্রিস্টাল বলরুমে।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং অরগানাইজেশন ফর ইসলামিক ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস-এর সহযোগিতায় এই সামিটের আয়োজন করছে আইএফএ কনসালটেন্সি লিমিটেড। এ বছরের সামিটের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ওভারকামিং দ্য চ্যালেঞ্জেস ইন দ্য ইসলামিক ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ 2.0।
আলোচনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক শরিয়াহ্ বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগকারী এবং শিল্প প্রশাসনের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। নীতিনির্ধারণী সংলাপ, প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ, পেশাদার কর্মশালার মাধ্যমে ইসলামী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে সুশাসন জোরদার, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ত্বরান্বিতকরণ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে AAOIFI-এর বৈশ্বিক মানদণ্ড বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। উপপ্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ডেপুটি গভর্নর ড. কবির আহমেদ।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অংশ নেবেন মুফতি ড. মুহাম্মদ ইমরান আশরাফ উসমানি (পাকিস্তান), ড. মোহাম্মদ এস্কান্দার শাহ মোহাম্মদ রশিদ (সিইও, ISRA Consulting, মালয়েশিয়া), মুফতি শাকির জাখুরা (সিনিয়র ম্যানেজার, অ্যাওক্বাফ শরীয়াহ্ ডিপার্টমেন্ট), প্রফেসর মুফতি ড. যুবায়ের উসমানি (পাকিস্তান) ও প্রফেসর ড. হাবিবুল্লাহ যাকারিয়া (IIUM, মালয়েশিয়া) প্রমুখ।
এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আব্দুল মান্নান (চেয়ারম্যান, IBCF, CSBIB, FSIBL), সিটি ব্যাংক লিমিটেডের এমডি মাশরুর আরেফিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল সরকার এবং প্রফেসর ওমর ফারুক ও অন্যান্য বরেণ্য ব্যক্তিগণ।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, এই সামিট বাংলাদেশের ইসলামিক ফিন্যান্স শিল্পের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তারা মনে করেন, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এ খাতের সুশাসন ও মানোন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ইসলামী অর্থনীতির নীতিমালা বাস্তবায়নে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। সামিটের মাধ্যমে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পাবে। সার্বিকভাবে, এটি বাংলাদেশের ইসলামী অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মন্তব্য করুন