ট্রেন্ট ব্রিজে ২২ বছর পর মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। তবে ম্যাচটি যতটা ঐতিহাসিক, ততটাই ব্যতিক্রম। কারণ, এটি কোনো পাঁচ দিনের পূর্ণাঙ্গ টেস্ট নয়—বরং চার দিনের একটি টেস্ট ম্যাচ! এতদিন পর এই দুই দলের দেখা হলেও, আলোচনার কেন্দ্রে এখন ম্যাচের দৈর্ঘ্য ও নিয়মের ভিন্নতা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) শুরু হওয়া এই একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ-এর অংশ নয়। আবার এটি সাধারণ পাঁচ দিনের টেস্টও নয়। তবুও এটিকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে।
ইংল্যান্ডের হয়ে বেন স্টোকস নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে, যা ভারতের বিপক্ষে জুনের পাঁচ ম্যাচের সিরিজের আগে তাদের শেষ লাল বলের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে কেন চার দিনের টেস্ট খেলছে ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে? টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিন, চার ও ছয় দিনের ম্যাচ অনেক দেখা গেছে। তবে ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট ছিল আধুনিক যুগের প্রথম চার দিনের ম্যাচ।
এর পর আইসিসি পরীক্ষামূলকভাবে এই ধরনের ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দেয়, যেন ছোট দলগুলো বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পায়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড ম্যাচও হয়েছিল চার দিনের টেস্ট। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো জিম্বাবুয়ের নাম।
চার দিনের টেস্টে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম বদলে দেওয়া হয়—
এই টেস্ট ম্যাচ ইংল্যান্ড-জিম্বাবুয়ের জন্য যেমন পুরনো শত্রুতার নবতর অধ্যায়, তেমনই টেস্ট ক্রিকেটের নতুন সংস্করণের পরীক্ষাও। চার দিনের এই ম্যাচ কেমন হয়, আর ভবিষ্যতের জন্য কতটা সম্ভাবনা তৈরি করে, সেদিকে তাকিয়ে আছে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব।
মন্তব্য করুন